বিজ্ঞাপন

আ স ম রবের বাসা থেকে গ্রেফতার ব্যারিস্টার মঈনুল

October 22, 2018 | 10:10 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রংপুরে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মানহানির মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (২২ অক্টোবর) রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল তাকে গ্রেফতার করে বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ডিবি’র অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন।

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার পর উত্তরার জসিমউদ্দিন রোডে আ স ম আবদুর রবের বাসায় যান ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (রাত ১২টা), জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ব্যারিস্টার মঈনুলকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহাবুব আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আ স ম আবদুর রবের স্ত্রী ও জেএসডি সহসভাপতি তানিয়া রব এবং জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন সারাবাংলাকে জানান, রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসন থেকে ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আলীকে সঙ্গে নিয়ে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন আ স ম আবদুর রবের বাসায় গিয়েছিলেন। সেখান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো বৈঠক ছিল না। পারিবারিক পরিচয়ের সূত্র ধরেই তারা ওই বাসায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই গ্রেফতার হন ব্যারিস্টার মঈনুল।

এর আগে, রাত ৯টার দিক থেকেই আ স ম রবের বাসা ঘিরে রাখে ডিবি পুলিশ। উত্তরা (পশ্চিম) থানা পুলিশের একটি দলও তাদের সঙ্গে ছিল। ব্যারিস্টার মঈনুল ওই বাসায় উপস্থিত আছেন— এমন খবর নিশ্চিত হয়েই বাসাটি ঘিরে রাখায় হয়।

বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আ স ম আবদুর রবের বাসায় কর্মরত একজন জানান, রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন আসেন ওই বাসায়। পরে রাত ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে ডিবি পুলিশের একটি দল ওই বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে। তারা বারবার বাসার দরজা ধাক্কাতে থাকলে রব বাসার দরজা খুলে দেন। পরে পুলিশ ব্যারিস্টার মঈনুলকে গ্রেফতার করে। ডিবি পুলিশের দলটির সঙ্গে ৯ থেকে ১০টি প্রাইভেট কার ও চারটি মোটরসাইকেল ছিল বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে আ স ম রবের ব্যক্তিগত সহকারী সাইফুলের কাছে জানতে চাইলেও তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি। রবের বাসার সামনে গণমাধ্যমকর্মীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করলেও তিনিও কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম সারাবাংলাকে বলেন, রংপুরে দায়ের করা একটি মানহানির মামলায় ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। সেই মামলাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর একাত্তর টেলিভিশনের টকশো ‘একাত্তর জার্নালে’ সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। তার এই মন্তব্যের প্রতিবাদে নারী সাংবাদিকরা বিবৃতি দেন। তারা প্রকাশ্যে ব্যারিস্টার মঈনুলকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকরা তার বিরুদ্ধে বিবৃতি দেন, বিবৃতি দেন বিশিষ্ট নাগরিকরাও।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় ব্যারিস্টার মঈনুল প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। তবে তিনি দাবি অনুযায়ী প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় ২১ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন মাসুদা ভাট্টি। পরে জামালপুর ও কুড়িগ্রামেও মামলা হয় তার নামে। এর মধ্যে ঢাকা ও জামালপুরের মামলায় রোববার পাঁচ মাসের এবং সোমবার কুড়িগ্রামের মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান ব্যারিস্টার মঈনুল।

এর মধ্যে আজ সোমবার বিকেলে রংপুরের মানবাধিকারকর্মী মিলি মায়া সেখানকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ব্যারিস্টার মঈনুলের বিরুদ্ধে মানহানির আরেকটি মামলা দায়ের করে। পরে সন্ধ্যার দিকে বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

আরও পড়ুন-

ব্যারিস্টার মঈনুলের ৫ মাসের আগাম জামিন

ব্যারিস্টার মঈনুলকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার দাবি

ব্যারিস্টার মঈনুলের বিরুদ্ধে মাসুদা ভাট্টির মামলা

ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে এবার কুড়িগ্রামে মামলা

কুমিল্লায় ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

‘ব্যারিস্টার মঈনুল ইংরেজি খাওয়াটা শিখেছেন, ভদ্রতাটা শিখেননি’

ব্যারিস্টার মঈনুলকে শুধু ক্ষমা চাইলেই হবে না, শাস্তিও পেতে হবে

সারাবাংলা/ইউজে/এএইচএইচ/এজেড/এমএমএইচ/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন