বিজ্ঞাপন

ইউরোপের মাঠ মাতাচ্ছেন ঢাকার ‘পোলা’

September 11, 2018 | 12:00 am

।। জাহিদ-ই-হাসান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকাঃ সাফ ফুটবলে আশা জাগিয়ে বাংলাদেশ যখন গ্রুপ পর্ব থেকে হতাশজনকভাবে বাদ পড়ে গেলো, সেদিন প্রেস ব্রিফিংয়ে লাল-সবুজদের বিদায়ের কারণ হিসেবে দেখালেন কোচ জেমি ডে। বললেন, দেশের গোল করা ফুটবলারের অভাব। স্ট্রাইকারের অভাবের দিনে ‘মন্দের ভালোদের’ নিয়েই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন কোচ।

ঠিক পৃথিবীর আরেকপ্রান্তে ইউরোপের ফুটবল দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে দেশের আরেক ‘নির্বাসিত’ ফুটবলার রিয়াসাত ইসলাম খাতন। গায়ে দেশের জার্সি দুই দুইবার পড়েও অভিষেক রাঙাতে পারেন নি তিনি। কিন্তু ফুটবলটা যে তার রক্তে। তাই চালিয়ে গেছেন খেলা।

ইউরোপের সর্বোচ্চ লিগেই অভিষেক হয়েছে ঢাকায় জন্ম নেয়া রিয়াসাতের। রিয়াল মাদ্রিদের সুপারস্টারের দেশ ওয়েলশের প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন এই লেফ্ট উইঙ্গার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলার প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে আসলো রিয়াসাতের আশা-দু:খ-ভবিষ্যত চিন্তা।

২৮ বছর বয়সী নোয়াখালির এই ফুটবলার এখন ওয়েলশ প্রিমিয়ার লিগে লানলিনি টাউন এফসির হয়ে খেলছেন। গেল মাস আগস্টের ১৮ তারিখ দলটির হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলেছেন। সেদিন অবশ্য এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ ফুটবল দল কাতারকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রেখেছিল। আর অন্যদিকে দেশের দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে ইউরোপের সর্বোচ্চ লিগে নাম লেখান রিয়াসাত।

 

বিজ্ঞাপন

ফুটবলে হাতেখড়ি:

‘আমি ঢাকা তে জন্মগ্রহণ করেছি। আমি ৫ বছর বয়সে জার্মানি চলে যাই। ১৪ বছর বয়সে আমি একটি লোকাল ক্লাব এফসি ফ্রেইবার্গারের হয়ে খেলা শুরু করি। তারপর বুন্দেসলিগার দল এসসি ফ্রেইবার্গ আমাকে বলে তাদের হয়ে খেলার জন্য আমি শেখানে অনূর্ধ্ব-১৬ ও অনূর্ধ্ব-১৭ খেলেছি। তারপর আমি কিছু ৪র্থ ও ৫ম স্তরের টিমের হয়েও খেলেছি। ’-রিয়াসাত জানান।

ওজিল-মুলারদের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা আছে রিয়াসাতের। এর আগে ফিলিপাইনের সর্বোচ্চ লিগে খেলা এই ফুটবলার ওয়েলশ লিগেও নিজের অভিষেক রাঙ্গিয়েছেন জয় দিয়ে।

বাংলাদেশের ফুটবলে রিয়াসাত:

বিজ্ঞাপন

সাত বছর আগে (২০১৩ সাল) জাতীয় ফুটবল দলে ঢাক পান রিয়াসাত। অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিলেও চোটের কারণে স্কোয়াড থেকে ছিটকে পড়েন। দুবছর পর (২০১৫ সাল) সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে লাল-সুবজদের স্কোয়াডেও জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। তৎকালীন ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রইফের অধীনে মূল স্কোয়াডে জায়গা করে নিলেও জার্সিটা গায়ে জড়াতে পারেননি।

এর পরে কি এক অদৃশ্য কারণে স্কোয়াডে থাকা হলো না রিয়াসাতের। দু:খ বুকে জড়িয়ে আবার পাড়ি জমান জার্মানিতে।

আশা-ভবিষ্যত চিন্তা:

ক্রোশ-ক্রোশ দূর থেকে রিয়াসাত এখনও স্বপ্ন দেখেন লাল-সবুজ জার্সিতে মাঠ কাপাবেন। অপেক্ষায় আছেন একটা কলের। যোগাযোগের। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে যদি তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় তাহলে ফের ফিরতে পারেন দেশের মাটিতে। খেলতে চান দেশের স্থানীয় ক্লাবেও। ঘরোয়া ক্লাবগুলো নিয়ে খুব একটা পরিচিত না থাকলেও নিজ এলাকার ক্লাবে যোগ দিতে চান। রিয়াসাতের ভাষায়, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন যদি চায় তাহলে আসবো। ওখানকার নোয়াখালীতে কোন ক্লাব থাকলে সেখানে যোগ দিতে চাই। দেশের মাটিতেই খেলতে চাই।’

আর সেই কলটি তার কাছে না গেলে ওয়েলশ বা জার্মানিতেই ফুটবল ক্যারিয়ার গড়তে চান তিনি। আরও বড় ক্লাবে যেতে চান। নিজেকে আরও বড় জায়গায় দেখতে চান। ইউরোপের আরও বড় বড় ক্লাবে খেলতে চান।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন