বিজ্ঞাপন

এলিট ছাত্রলীগ করেছিল, বললেন মেয়র নাছির

April 10, 2018 | 9:00 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটিতে সদ্য পদ পাওয়া নিয়াজ মোরশেদ এলিটকে নিয়ে সারাবাংলার একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর তা বন্দর নগরীর ‘টক অব দ্য টাউন’-এ পরিণত হয়েছে।

হঠাৎ আওয়ামী লীগে এলিটের পদ পাওয়া নিয়ে আগে থেকেই ছিলো চট্টগ্রামে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে সারাবাংলা.নেট ‘চট্টগ্রামের হাইব্রিড এলিট এখন কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা’ শিরোনামে খবরটি প্রকাশিত হয়। যে খবরটি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনেরও।

সারাবাংলার খবরটিতে- প্রচার রয়েছে এলিট চট্টগ্রামের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের ঘনিষ্ঠজন। সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন প্রোগ্রামেও এলিটকে মেয়রের পাশে দেখা যায়, বলে উল্লেখ করা হয়েছিলো।

বিজ্ঞাপন

সে সময় সিটি মেয়রের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে খবরটি প্রকাশিত হলে মেয়র নিজেই সারাবাংলাকে তার বক্তব্য জানানোর উদ্যোগ নেন। সন্ধ্যায় সারাবাংলার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন চট্টগ্রাম মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।

তার মতে, এলিট তার ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

তিনি বলেন, আমি এই শহরে রাজনীতি করছি সেই স্কুলজীবন থেকে। আমি যতটুকু জানি, ছাত্রাবস্থায় সে (এলিট) ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এখন ছাত্রলীগ কিংবা যুবলীগের মিছিল যখন হয়, তখন শত শত, হাজার হাজার ছেলে মিছিলে যোগ দেন। তাদের সবাই কিন্তু পদবিধারী নন। পদবিধারী থাকেন হাতেগোনা কয়েকজন।

বিজ্ঞাপন

মেয়র প্রশ্ন করেন, ‘পদটা যদি মুখ্য হয়, তাহলে মিছিল যারা করছে তারা কি সংগঠন করে না? যারা নৌকা প্রতীকে ভোট দেন কিংবা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে প্রার্থী নির্ধারণ করে দেন, তাকে যারা ভোট দেন তারা কি আওয়ামী লীগের কেউ নন?’
এলিটের পদ পাওয়া নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কারা করতে পারবে, কারা করতে পারবে না, এটা গঠনতন্ত্রে স্পষ্ট করা আছে। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত, ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বরের (জাতীয় চার নেতা হত্যা) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত এবং যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষভাবে বিরোধিতা করেছে, তারা ছাড়া আর যে কেউ আওয়ামী লীগ করার অধিকার রাখে, এখতিয়ার রাখে।’

সে (এলিট) কি এর কোনটির আওতায় পড়ে?-প্রশ্ন রাখেন মেয়র।

তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিবিশেষ কেউ তাকে পছন্দ করতে পারে, কেউ তাকে অপছন্দ করতে পারে। কিন্তু এটা তো কোন ব্যক্তিবিশেষের দল না। দল পরিচালনা করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কে কি বলল, এটা কোন বিবেচ্য বিষয় নয়।’

নিয়াজ মোরশেদ এলিটের বাবা মনিরুল ইসলাম ইউসুফ বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি। তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। এলিটও আওয়ামী লীগ থেকে একই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর এসেছে।
এর প্রেক্ষিতে গত ১৫ মার্চ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ ‘এলিট আওয়ামী লীগের কেউ নন’ বলে বিবৃতি দেয়।

বিজ্ঞাপন

এরপর গত ৮ এপ্রিল এলিটকে ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সভায় সদস্য হিসেবে যোগ দিতে দেখা যায়। এরপর মূলত আরও জোরালো সমালোচনা শুরু হয়েছে।

সারাবাংলা/আরডি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন