বিজ্ঞাপন

কিংবদন্তির জন্য কান্না…

December 22, 2018 | 3:40 pm

 স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

শীতের মনমরা দুপুরটা আরও ভারি হয়ে উঠলো যখন আমজাদ হোসেনের মরদেহবাহী গাড়িটা এসে পৌঁছালো এফডিসিতে। আগে থেকেই শোক মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। সেখানে আমজাদ হোসেনের মরদেহ রাখার পর চেপে থাকা কান্নাটা যেন আর বাঁধ মানে না।

আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে আমজাদ হোসেনের মরদেহ, সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা

এই এফডিসি, যেখানে প্রায় দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের বেশি সময়ের পদচারনা তার। যেই এফডিসির প্রাঙ্গনে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন জাদরেল পরিচালক, রোমান্টিক গীতিকার আর সময়কে ধরে রাখা চিত্রনাট্যকার আমজাদ হোসেন। আজ সেখানে শুয়ে আছে তার নিথর-নিশ্চুপ দেহ।

বিজ্ঞাপন

দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা প্রায় সবাই-ই এসেছেন তাঁকে শেষ বিদায় জানাতে। এসেছেন আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমনি’ ফারুক আর ববিতা। রোদ চশমায় আড়াল করতে চাইলেও ববিতার কান্না ঠিকই টের পাওয়া যায়। দুই বোন সুচন্দা আর চম্পার হাত ধরে শোক সামলানোর চেষ্টা তার।

বিজ্ঞাপন

এসেছিলেন আমজাদের ‘গোলাপী এখন ট্রেন’-এর অন্যতম যাত্রী তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। ছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আনোয়ারাও।

আমজাদ হোসেনের সমসাময়িক যারা এখনো জীবিত তাদের অনেকেই এসেছেন চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তীকে বিদায় জানাতে। এসেছেন তার পরের সব প্রজন্মের প্রতিনিধিরাও। চিত্রনায়ক আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন থেকে শুরু করে ওমর সানী, অমিত হাসান, রুবেল, রিয়াজ, ফেরদৌস, জায়েদ খান, সায়মনদের দেখা গেছে শোকের মিছিলে। এসেছিলেন পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, সোহানুর রহমান সোহানসহ অনেকেই।

বিজ্ঞাপন

সবার মুখে কথা ছিল প্রায় একই রকম। আমজাদ হোসেন বাংলা চলচ্চিত্রের সত্যিকারের  এক প্রতিভার নাম। যিনি তার মেধা দিয়ে তার সৃষ্ঠিমীলতা দিয়ে আমাদের চলচ্চিত্রকে নানা রঙে রাঙিয়েছেন। তার চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে সেই রং কিছুটা হলেও ফিকে হয়ে উঠলো।

 

তবে সবকিছু ছাপিয়ে আশার আলোও আছে। জাগতিক সব মত-পথকে পেছনে ফেলে আমরা সবাই একত্রিত হতে পেরেছি আমাদের বাংলা চলচ্চিত্রের সত্যিকারের কিংবদন্তিকে শেষ বিদায় জানাতে। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।

ছবি : আশীষ সেনগুপ্ত

সারাবাংলা/পিএম


আরও পড়ুন :

.   আমজাদ হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে নিরন্তর

.   আইসিইউতে টেলি সামাদ


Tags: , , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন