বিজ্ঞাপন

খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সংলাপ ফলপ্রসূ হবে না: বিএনপি

October 31, 2018 | 12:36 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

 ঢাকা: ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দেশে কোনো সংলাপ ফলপ্রসূ হতে পারে না বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটির নেতারা বলছেন সরকার একদিকে জামিন যোগ্য মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছে, তার সাজার মেয়াদ বাড়িয়েছে অন্যদিকে সংলাপের আহবান করেছে। এমন হঠকারিতামূলক সংলাপ ফলপ্রসূ হতে পারে না।

বুধবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং তার নি:শর্ত মূক্তির দাবিতে করা মানববন্ধনে এসব কথা বলেন দলটির শীর্ষ নেতারা।

বিজ্ঞাপন

দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরে সভাপতিত্বে মানবন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

এছাড়া স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিষ্টার মওদুদ আহমদ, ড.আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান ও বরকত উল্লাহ বুলুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অবৈধ শেখ হাসিনার সরকার দেশে একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভবিষ্যত অনিশ্চিত করে রেখেছে। একের পর এক মিথ্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে জিয়া পরিবার তথা বিএনপির রাজনীতিকে ধংস করার ষড়যন্ত্র করছে।

তারা একদিকে সংলাপের কথা বলছে, অন্যদিকে খালেদা জিয়ার সাজার মেয়াদ বাড়িয়েছে। সাজানো মামলায় তিনি জামিন পেলেও জামিন দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় সংলাপের আহবান করা সরকারের সদিচ্ছার প্রকাশ পায় না। খালেদাকে কারাগারে রেখে সংলাপ ফলপ্রসু হতে পারে না। তাকে কারাগারে রেখে এ দেশে কোনো নির্বাচনই হতে পারে না।

এর আগে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের জন্য বিএনপিকে বেলা ১১ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সময় বেধে দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পুলিশের বেধে দেওয়া এ সময়ের মধ্যে মানববন্ধন শেষ করতে গিয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতারা।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়া জীবন সায়াহ্নে এসে কেবল গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে কারাবাস করছেন। তিনি দেশের গণতন্ত্রকে মুক্তি দিতে নিজে বন্দী জীবন বেছে নিয়েছেন। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে হবে। কেননা আওয়ামী বাকশালীরা অতীতে জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় জোর করে এসেছে এবারও আসতে চায়। এবার সে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি জনগণ মেনে নেবে না। এ দেশে আর কোনো ভোটার বিহীন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আপনাদের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করছি। আশা করছি আপনারা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার সুষ্ঠুভাবে পালনের সুযোগ করে দেবেন। এসময় মানববন্ধন শেষে যেন কোনো নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা না হয় সে ব্যাপারেও পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান মির্জা ফখরুল।

এদিকে নেতা কর্মীদের গ্রেফতার না করতে পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানানোর পরও মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাবের পার্শবর্তী এলাকা সেগুনবাগিচার কয়েকটি মোড়ে পথচারীদের ডেকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেছে।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার আবারো দেশে একতরফা নির্বাচন করতে চায়। এ জন্য তারা মিথ্যা ও সাজানো মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে প্রতিদ্বন্দ্বী শুণ্য করতে চাইছে। তারা বিএনপির জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে আবারো সেই পুরনো পথে হাটছে। অথচ এদেশে সেই প্রহসনের নির্বাচন আর কোনোদিন হবে না। খালেদা জিয়াকে ছাড়া এ দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না। হতে দেওয়া হবে না।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা এতোদিন ধরে যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছি এখন দেখছি তা ফলপ্রসূ হয়েছে। সরকার এতোদিন বলেছে তারা সংলাপে বিশ্বাস করে না। দেশে কোনো সংলাপ হবে না। এখন তারা জনগণের মনের কথা বুঝতে পেরেছে। তারা সংলাপে রাজি হয়েছে। আমরা আমাদের ৭ দফা দাবি নিয়ে সংলাপে আলোচনা করবো। সংলাপ, আন্দোলন এবং নির্বাচন একসাথে চলবে

সারাবাংলা/এমএস/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন