বিজ্ঞাপন

গ্রেনেড হামলা মামলার রায়, রাজধানীতে কড়া নিরাপত্তা

October 10, 2018 | 8:56 am

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে। রায়কে কেন্দ্র করে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা ও নাশকতার চেষ্টা চালাতে না পারে সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

বুধবার (১০ অক্টোবর) সকাল ৬ টা থেকে ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বিশেষ নিরাপত্তার চিত্র দেখা গেছে।

বুধবার সকাল ৬টা। রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়। একেবারে বন্দুক তাক করে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরে রীতিমতো দাঁড়িয়ে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। পাশেই রয়েছে অ্যাম্বুলেন্সসহ পুলিশের গাড়ি।

বিজ্ঞাপন

একই সময় যাত্রাবাড়ী এলাকায় সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে মাঠে নেমেছেন ডেমরা জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখারুজ্জামান ইফতি। তিনি বলেন, সব ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মাঠে কাজ করছে পুলিশ।

সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে মতিঝিল, দৈনিক বাংলা মোড়, পুরানা পল্টন, নয়া পল্টন, কাকরাইল কদম ফোয়ারা, মৎস ভবন, শাহবাগ এলাকায় দেখা যায়, মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। সেই সাথে রায়ট কার, এপিসি কারসহ জলকামানের গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সাথে র‌্যাবের টহল গাড়ি চোখে পড়ার মতো দেখা গেছে। কেউ যাতে নূন্যতম বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেজন্য এতো আয়োজন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

সকাল ৭টা। রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত সারাবাংলার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মেহেদী হাসান জনি জানান, বিপুল সংখ্যক র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে উত্তরা এলাকায় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। একই সাথে পুলিশের জল কামানসহ বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড মোতায়েন রয়েছে।

এছাড়া সব ধরনের নাশকতা এড়াতে রাজধানীর মহাখালী, ফার্মগেট, শ্যামলী, গাবতলী ও মিরপুর এলাকায় চোখে পড়ার মতো পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য দায়িত্ব পালন করছে।

মিরপুর বিভাগের পুলিশের উপ কমিশনার মাসুদ আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, রায় ঘিরে রাজধানীতে বিশৃঙ্খলার কোন খবর পুলিশের কাছে নেই। এরপরও সব ধরণের ঝুঁকি এড়াতেই ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সকাল ৮টা। রাজধানীর চাঁনখার পুল থেকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগার পর্যন্ত আশেপাশের এলাকায় প্রায় ৫০০ পুলিশ মোতায়েন থাকতে দেখা গেছে। একই সাথে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যদের পোশাকে এবং সাদা পোশাকে থাকতে দেখা গেছে। জলকামান, রায়ট কার ও এপিসি কারসহ বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকেও প্রস্তুত থাকতে দেখা গেছে। ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে দেখা গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে এই এলাকায় লোকজনকে দল বেঁধে যাতায়াত করতে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের আগে ও পরে রাজধানীতে ডিবির ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াত সদস্যরা বিশেষ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে। বিশেষ নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান বলেন, একদিন আগে থেকেই বিশেষ জজ আদালতের আশেপাশের এলাকায় বিশেষ নজরদারি করা ও তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। রায়ের জন্য আদালত প্রস্তুত রয়েছে একই সাথে আইন শৃঙ্খলার যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য প্রস্তুত থাকবে পুলিশ। এর বাইরে আদালত এলাকায় যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

একই সাথে র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি মিজানুর রহমান বলেন, আদালত এলাকার বাইরেও পুরো রাজধানী ও ঢাকার বাইরে নিরাপত্তা রক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।

সারাবাংলা/ইউজে/এমএইচ

আরও পড়ুন

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় আজ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন