বিজ্ঞাপন

‘ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাব পড়ছে না বাংলাদেশে’

October 11, 2018 | 11:51 am

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় তিতলি ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূল অতিক্রমের পর ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। আগামীকাল শুক্রবার (১২ অক্টোবর) নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করবে। তবে ততক্ষণে সেটি নিম্নচাপ বা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ফলে, বাংলাদেশে তিতলি’র প্রভাব তেমন প্রকট হবে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

একইসঙ্গে উপকূলীয় বন্দরগুলোতে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন- তিতলি নিয়ে শঙ্কা নেই, তবু আমরা প্রস্তুত: ত্রাণমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আয়েশা খাতুন সারাবাংলাকে বলেন, স্থলভাগে এসে ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমেই দুর্বল হচ্ছে। তাই আশা করা করা যাচ্ছে, বাংলাদেশ পর্যন্ত পৌঁছে এই ঝড়ের তীব্রতা অনেকটাই প্রশমিত হবে। তবে এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল রয়েছে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ভারি বর্ষণ হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদফতর থেকে পাওয়া শেষ খবর পর্যন্ত পটুয়াখালির খেপুপাড়ায় ৭৭ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ৪৭ মিলিমিটার, বরিশালে ৩০ মিলিমিটার, যশোরে ৩১ মিলিমিটার, সাতক্ষীরাতে ৫২ মিলিমিটার, মংলায় ৩৪ মিলিমিটার, টেকনাফে ৫৫ মিলিমিটার, কুতুবদিয়ায় ৩২ মিলিমিটার ও কক্সবাজারে ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- উড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হেনেছে তিতলি

বিজ্ঞাপন

এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হ্যারিকেনের তীব্রতাসম্পন্ন প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ উত্তর/উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজ সকালে গোপালপুরের কাছ দিয়ে ভারতের উড়িষ্যা-অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি বর্তমানের ভারতের উড়িষ্যা উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে অবস্থান (১৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ ও ৮৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) করছে। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

আরও পড়ুন- আজও লঞ্চ চলাচল বন্ধ, সদরঘাটে অপেক্ষায় যাত্রীরা

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপে তারতম্য দেখা যাচ্ছে। এতে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালাও তৈরি হচ্ছে। ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

‘তিতলি’ দুর্বল হয়ে পড়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়েও থাকতে বলা হয়েছে আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমএ/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন