বিজ্ঞাপন

চোখে জল ও বুকে শঙ্কা নিয়ে নেপালের পথে স্বজনরা

March 13, 2018 | 8:23 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: গতকাল কাঠমন্ডু বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের দুর্ঘটনায় আক্রান্ত বিমান যাত্রীদের স্বজনরা রওনা হয়েছেন নেপালের পথে।

মঙ্গলবার সকাল ৯টা ২মিনিটে তাদের বহনকারী ইউএস-বাংলার ফ্লাইটটি ঢাকা ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছে ইউএস-বাংলা। ফ্লাইটটিতে ৪৬ জন স্বজন ও ইউএস বাংলার ৭ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।

প্রতি পরিবার থেকে একজনকে নেপালে নিচ্ছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

এর আগে বিমানবন্দরে সারাবাংলা সঙ্গে কথা হয় হতভাগ্য কয়েকজন যাত্রীর স্বজনদের সঙ্গে। অনেকেই তারা কথা বলার অবস্থায় নেই। ঘটনার আকস্মিকতায় বিভ্রান্ত মুখে ঘুরছেন বিমানবন্দরে।

বৈশাখী টিভির সাংবাদিক ফয়সাল সরদারের মামা মো.কায়কোবাদ সারাবাংলাকে জানান, ঘটনার পরেই আমরা জানতে পারি। আমরা এখনও আশা দেখছি, গিয়ে দেখি কী অবস্থা।

যদিও ইউএস বাংলা থেকে একজন মাত্র আত্মীয়কে নেপাল নিয়ে যাওয়া হবে তাও, ফয়সালের আরেকজন আত্মীয় উপস্থিত হয়েছেন বিমানবন্দরে। মৃত্যুর খবর মানতে রাজি নন তিনি। নিজে গিয়ে যাচাই করতে দেখতে চান সত্য।

বিজ্ঞাপন

হুমায়ুন কবীর, ইমরানা কবীর হাসির বাবা। তিনিও প্রস্তুত নেপাল যেতে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে হাসিকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এই আশা নিয়ে হুমায়ুন কবীর এসেছেন যে মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন। তবে পাসপোর্ট না থাকায় বিমান বন্দরে এসেও হুমায়ুন কবীর যেতে পারেননি নেপালে। তবে গিয়েছে হাসির অন্য আত্মীয়রা।

কেবিন ক্রু নাবিলার ভাসুর বেলাল হোসেন লাবলু বলেন, আমরা মনে আশা নিয়ে যাচ্ছি। খারাপ কিছু চিন্তা করছি না। এসব চিন্তা আমরা মাথায় আনতে চাই না।

বিজ্ঞাপন

ফারজানা শারমিন ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক। তিনি জানান, তার ভাই রাশেদ রোবায়েত ব্যাংক এশিয়ায় চাকরি করেন। ওই বিমান দুর্ঘটনায় তিনি ও আরও দুইজন এখন হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন। গতকাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ  ফোন দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে। রাশেদ রোবায়েত তখন বলেন, তোমরা চিন্তা করো না। আমি ভালো আছি।

ইউএস বাংলার জেনারেল ম্যানেজার কামরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সাড়ে ৮টায় ফ্লাইট ছেড়ে যাবে। এতে ৪৬ জন স্বজন ও ৭ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। দুর্ঘটনায় আক্রান্ত স্বজনদের গতকাল খুদে বার্তা দিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে।

এদিকে বেলা এগারটায় কাঠমান্ডু যাচ্ছেন বিমানমন্ত্রী শাহজাহান কামাল।

সোমবার বেলা আড়াইটায় ৬৭ যাত্রী আর ৪ ক্রু নিয়ে বাংলাদেশ  ছেড়ে যায় ইউএস-বাংলার  উড়োজাহাজটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। এই দুর্ঘটনায় ২৫ বাংলাদেশীসহ অর্ধ শতাধিক যাত্রীর নিহত হয়েছেন।

সারাবাংলা/জেএ/টিএম/এমএ

আরও পড়ুন

‘০২’ আর ‘২০’র দ্বিধায় গেল ৫০ প্রাণ!

খোঁজ নেই যাত্রীদের, উদ্বিগ্ন স্বজনরা

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন