বিজ্ঞাপন

জামায়াত থেকে পদত্যাগ করলেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক

February 15, 2019 | 12:55 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থেকে পদত্যাগ করেছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করায় জামায়াতে ইসলামী জনগণের কাছে ক্ষমা চায়নি এবং দলটি একবিংশ শতাব্দীর আলোকে অন্যান্য দেশের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের রাজনৈতিক পরির্ব্তন বিবেচনায় নিয়ে নিজেদের সংস্কার করতে পারেনি বলে দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে লন্ডন থেকে জামায়াতের আমির মকবুল আহমদের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাকের বড় ছেলে ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী।

পদত্যাগের কারণ বা এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, শুক্রবার সকালে ব্যারিস্টার রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারী কাউসার হামিদের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও তার পদত্যাগের তথ্য নিশ্চিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুক্তরাজ্য থেকে আজ (শুক্রবার) সকালে পাঠানো একটি চিঠিতে দলের আমির মকবুল আহমদের কাছে তিনি (ব্যারিস্টার রাজ্জাক) পদত্যাগপত্র পেশ করেছেন।

পদত্যাগপত্রে ব্যারিস্টার রাজ্জাক বলেন, আমি বিগত প্রায় দুই দশক নিরবচ্ছিন্নভাবে জামায়াতকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি, ৭১-এ দলের ভূমিকা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হওয়া উচিত এবং ওই সময়ে জামায়াতের ভূমিকা ও পাকিস্তান সমর্থনের কারণ উল্লেখ করে জাতির কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়া উচিত।

এ বিষয়টিতে দল কোনো উদ্যোগ নেওয়ায় যারা ‘৭১-এ জন্মগ্রহণ করেননি তাদের এই দায়ভার বহন করতে হচ্ছে এবং অনাগত প্রজন্মের যারা জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত হবে, তাদেরও সেই দায় বহন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক।

বিজ্ঞাপন

পদত্যাগপত্রে তিনি আরও বলেন, জামায়াতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দলের সংস্কারের জন্য চেষ্টা করে গেছেন তিনি। কাঠামোগত সংস্কারের পাশাপাশি নারীর কার্যকর অংশগ্রহণ ও অন্যান্য মৌলিক পরিবর্তনের জন্য তিনি চেষ্টা করলেও তাতে সফল হননি। নিজের পদত্যাগের পেছনে এটিকেও একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

দল থেকে সরে দাঁড়ানোর পর নিজের আইন পেশায় আত্মনিয়োগ করতে চান বলে উল্লেখ করেন এই জামায়াত নেতা। পাশাপাশি ন্যায় বিচারের ভিত্তিতে একটি সমৃদ্ধ ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সাধ্যমতো চেষ্টা করবেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

সারাবাংলা/জেএ/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন