বিজ্ঞাপন

সেনাপ্রধানকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে ড. জাফরুল্লাহ’র দুঃখপ্রকাশ

October 13, 2018 | 11:41 am

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বেসরকারি টেলিভিশন সময় টিভির টকশো’তে বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে দুঃখপ্রকাশ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

শনিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দুঃখপ্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, টেলিভিশনের টক শো’তে আলোচনায় তিনি অসাবধানতাবশত সেনাপ্রধান জেনারেল এম এ আজিজ সম্পর্কে একটি ভুল তথ্য উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেন, জেনারেল আজিজ একজন দক্ষ আর্টিলারি সেনা কর্মকর্তা। তিনি চট্টগ্রাম সেনানিবাসের জিওসি ছিলেন না, কমান্ড্যান্টও ছিলেন না। তিনি তার কর্মজীবনের একসময়ে চট্টগ্রাম সেনাছাউনিতে আর্টিলারি প্রশিক্ষক ছিলেন। তার বিরুদ্ধ ‘কোর্ট মার্শাল’ হয়নি, একবার ‘কোর্ট অব এনকোয়ারি’ হয়েছিল। ভুল বক্তব্য ও শব্দ বিভ্রাটের জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ও মর্মাহত।

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, সেনাবাহিনী বা জেনারেল আজিজের সম্মানহানি করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না এবং এমন কোনো অভিপ্রায়ও আমার নেই। আমাদের সেনাবাহিনীর গৌরবে আমি গর্বিত। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। তাদের সুখ-দুঃখের ভাগিদার হয়েছি এবং যুদ্ধ শেষে আমিই প্রথম কুমিল্লা কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতাল চালু করি। পরে আমি ও ডা. আজিজুর রহমান ঢাকা কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতাল চালু করি।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, জেনারেল আজিজের সম্মানহানি করার কোনো চিন্তা বা উদ্দেশ্য আমার ছিল না। আমি খোলা মনে আরও বলেছিলাম, তার ছোট ভাই শীর্ষ সন্ত্রাসী জোসেফেরে দায়দায়িত্ব জেনারেল আজিজের ওপর বর্তায় না। চরম দণ্ডপ্রাপ্ত জোসেফের দণ্ড মুক্ত করেছেন স্বয়ং রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ খান। জেনারেল আজিজকে আমি অসাবধানতাবশত কোনো মনোকষ্ট দিয়ে থাকলে সেজন্য আমি পুরনায় আন্তরিক দুঃখপ্রকাশ করছি।

গত দুই দিন কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে তার দেওয়া বক্তব্যে ভুল শব্দ চয়ন ও শব্দ বিভ্রাটের বিষয়টি প্রকাশ করায় সেনাপ্রধানের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন ডা. জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, চূড়ান্তভাবে ভুল বোঝাবুঝির অবসানকল্পে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা তুলে ধরেন ডা. জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, দেশে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের আইনের সংকীর্ণতার কারণে আমার কিডনি রোগের উত্তর চিকিৎসা সুলভে কিডনি প্রতিস্থাপন বাংলাদেশে সম্ভব নয়। এ কারণে জীবন রক্ষায় আমাকে প্রতি সপ্তাহে তিন দিন প্রতিবার চার ঘণ্টা করে হোমডায়ালাইসিস করতে হয়। ডায়ালাইসিসের পর স্বাভাবিক কারণে শারীরিক দুর্বলতা বাড়ে এবং মানসিক স্থিতি কিছুটা কমে। ‘সময়’ টেলিভিশনের বিশেষ অনুরোধে শারীরিক দুর্বলতা নিয়েই আমি ৯ অক্টোবর রাত ১০টায় তাদের একটি টকশো’তে অংশ নেই। ওই টকশো’তে আরও অতিথি ছিলেন একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ আলম লেলিন।

এর আগে, ওই টকশো’তে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের কোর্ট মার্শাল হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ। পরে এ বিষয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সেনা সদরের বক্তব্য তুলে ধরা হয়। এতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যকে ‘দায়িত্বহীন, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হিসেবে বর্ণনা করে বলা হয়, ওই বক্তব্য ‘সেনাবাহিনী প্রধানসহ সেনাবাহিনীর মতো রাষ্ট্রীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে জনসম্মুখে হেয় করার হীন অপচেষ্টা মর্মে স্পষ্টত প্রতীয়মান হয়।’

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন