বিজ্ঞাপন

‘দিন বদল শুরু করেছি, দিন বদল এগিয়ে যাচ্ছে’

October 11, 2018 | 1:23 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণা অনুযায়ী সরকার দিন বদল শুরু করেছে এবং দিন বদল এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম ‘দিন বদলের সনদ’। আজ বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান পরিবর্তন হচ্ছে, উন্নত হচ্ছে। আমরা দিন বদলের যাত্রা শুরু করেছি, এবং তা এগিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় ৩৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে দেশের ২০টি জেলায় ১৬টি মাতৃসদন, আটটি ব্রিজ ও ৯টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ঢাকাস্থ স্প্যানিশ দূতাবাসের উদ্যোগে স্প্যানিশ ভাষায় প্রকাশিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটির মোড়কও উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুভার্গ্য, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের বিজয় অর্জনকে মেনে নিতে পারেনি, তাদের চক্রান্তের ফলে ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ২১ বছর আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন শুরু হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই স্বপ্ন পুরণ করা, বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানো, মানুষের জীবনমান উন্নত করা, বাংলার মানুষকে একটি উন্নত জীবন দান করা— এসব লক্ষ্য নিয়েই আমরা ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কাজ করেছি। তখন দেশের মানুষ ১৯৭৫ সালের পর প্রথম উপলব্ধি করে, সরকার জনগণের সেবক, জনগণের সেবা করে।

এসময় ২০০১ সালের নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের দিকটি তুলে ধরে পরে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর টানা মেয়াদে সরকারে দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতির দিকগুলো তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে একটা মর্যাদা পেয়েছে। আমরা উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি। এই অর্জনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে— এটাই আমাদের লক্ষ্য। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পড়ে থাকা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা, যেটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল, সেই স্বপ্ন পূরণ করাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি, কাজ করে যাচ্ছি। তারই কিছু ফসল আজ আপনাদের উপহার দিচ্ছি।

এজন্য উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ভালোভাবে ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ ও এগুলোর প্রতি বিশেষভাবে যত্মবান হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ ও দারিদ্র দূর করব। আমরা সেই বিষয়ে সাফল্য অর্জন করেছি। ৪০ ভাগ থেকে ২১ ভাগে দারিদ্র্যের সীমা কমিয়ে এনেছি। বাংলাদেশের মানুষের আয় বেড়েছে। আমরা সবার বেতন-ভাতা বাড়িয়ে দিয়েছি। সব দিক থেকে মানুষ যেন একটু ভালোভাবে বাঁচতে পারে, তার ব্যবস্থা করেছি।

বাংলাদেশ যত অল্প সময়ে উন্নতি করেছে, পৃথিবীর কোনো দেশ এত অল্প সময়ে উন্নতি করতে পারে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সে অসাধ্য সাধন করতে পেরেছি একটাই কারণে। সেটা হচ্ছে— এই বাংলাদেশের জনগণকে জাতির পিতা গভীরভাবে ভালোবাসতেন এবং তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। জাতির পিতার সেই আদর্শ বুকে ধারণ করেই স্বজন হারানোর বেদনা নিয়েও বাংলাদেশ ফিরে আমিও আমার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছি বাংলাদেশের কল্যাণে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আমার পিতা স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষা-চিকিৎসা পাবে। সুন্দর জীবন পাবে, উন্নত জীবন পাবে। সেই উন্নত জীবন যেন বাংলাদেশের মানুষের নিশ্চিত হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করে যাচ্ছি। আমি সবার দোয়া চাই এবং দোয়া করবেন।

অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব জাফর আহমেদ খান। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন