বিজ্ঞাপন

নীলফামারীতে জাতিসংঘ ও চীনের ত্রাণ সহায়তা

February 10, 2018 | 3:15 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) ও বাংলাদেশে অবস্থিত চায়না দূতাবাস শনিবার নীলফামারীতে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে। এ সময় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর উপস্থিত ছিলেন।

জাতিসংঘের বাংলাদেশ আবাসিক কার্যালয় থেকে শনিবার দুপুরে এক বার্তায় জানানো হয়, নীলফামারীতে বন্যার্তদের মাঝে দেয়া ত্রাণ সহায়তার মধ্যে ছিল দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র ও বাসা-বাড়ি পুননির্মাণের জন্য ঢেউটিন।

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বন্যার্তদের জন্য ইউএনডিপি এবং চায়নার এই যৌথ প্রচেষ্টা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে যে কোনো দুর্যোগের সময় তারা পাশে থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী বলেন, ‘চায়না সবসময়ই মানবিক সাহায্যের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশের পাশে থাকে এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে। এই যৌথ উদ্যোগ হচ্ছে সহযোগিতার একটি অনন্য উদাহরণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমবারের মতো আমাদের এই যৌথ উদ্যোগের সফলতার কারণে আমি আশা করি আগামীতেও চায়না, ইউএনডিপির সঙ্গে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কাজ করবে।’

বাংলাদেশে চায়নার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কাউন্সিলর লি গুআংজুন বলেন, ‘চায়না বাংলাদেশের বন্যার্তদের এবং এখানে অবস্থান নেওয়া শরণার্থীদের পাশে আছে।’ এ সময় তিনি ইউএনডিপির এই মানবিক সাহায্যের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং মনে করেন এই ত্রাণ সামগ্রী বন্যার্ত ও শরণার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে সাহায্য করবে।

বিজ্ঞাপন

গত বছর বন্যায় ৩১ জেলার প্রায় ৭০ লাখ মানুষ ব্যাপক ক্ষতির মোকাবিলা করে এবং ৮২ হাজার ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়। এখনো সেখানকার জনসাধারণ বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এই কারণে চায়না সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ইউএনডিপির সাথে যৌথভাবে, বাংলাদশে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৪ মিলিয়ন ইউএসডির আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।

এই যৌথ উদ্যোগের আওতায় বন্যার্তদের পাশাপাশি, ইউএনএফপিএ-এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা নারীদের জন্য তাদের জীবন রক্ষায় প্রয়োজনীয় সাহায্য দেয়া হচ্ছে। কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, বগুড়া এবং নীলফামারীর মোট ১৩ হাজার ৯১০টি বন্যায় আক্রান্ত পরিবারকে ত্রাণ সামগ্রী দেয়া ছাড়াও কক্সবাজারে ১ লাখ ১৮ হাজার রোহিঙ্গা নারী জরুরি প্রজনন স্বাস্থ্য রক্ষার দ্রব্য সামগ্রী পেয়েছে।

সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন