বিজ্ঞাপন

পাইলটের ভুলেই দুর্ঘটনা, দাবি নেপাল কর্তৃপক্ষের

March 12, 2018 | 7:10 pm

সারাবাংলা ডেস্ক
চালকের ভুলের কারণে নেপালের কাঠমান্ডুতে ঢাকা থেকে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে নেপাল কর্তৃপক্ষ। দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সঞ্জিব গৌতম সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারকে বলেন, পাইলটের ভুলেই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
সঞ্জিব জানান, দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ঢাকা থেকে আসা ‘বিএস-২১১’ বিমানটিকে রানওয়ের দক্ষিণ পাশ থেকে নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানটি গতি কম নিয়ে উত্তর দিক থেকে অবতরণ করার চেষ্টা করে। এতে বিমানটি রানওয়ের পাশে ছিটকে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এ দুর্ঘটনাকে পাইলটের ভুল বলে উল্লেখ করেছেন নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক।
নেপালে এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন বলে নেপালি সংবাদ মাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে জানাচ্ছে হিন্দুস্থান টাইমস। হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে অন্তত ২৫ জনকে।
এদিকে আনিকা পাণ্ডে নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বিজনেস ইনসাইডার জানায়, নামার সময় স্বাভাবিক গতি ছিল না ইউএস বাংলার বিমানটির।
শেষ মুহুর্তে বিমানটি নামতে গিয়ে গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করে। এর পরমূহুর্তেই বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে যায়। এর আগে দুর্ঘটনার পরপরই নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশনের মহাপরিচালক সঞ্জীব গৌতমকে উদ্ধৃত করে কাঠমাণ্ডু পোস্ট জানায়, অবতরণের সময়ে বেশ অস্বাভাবিক আচরণ দেখা যায় ফ্লাইটিতে।
সেটি অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন ছিলো। রানওয়ের দক্ষিণ দিকে অবতরণের অনুমতিও দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু দক্ষিণ দিকের অনুমতি নিয়ে সেটি উত্তর দিকের রানওয়েতে ল্যান্ড করে। তিনি সন্দেহ করছেন, কোনোও কারিগরি ত্রুটির কারণেই এমনটা ঘটেছে।
তবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। টেলিভিশনের খবরে আরও বলা হয়েছে, উড়োজাহাজটি ক্যাপ্টেন বেঁচে আছেন বলে আশা করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে- ক্যাপ্টেন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আবেদ সুলতান নামের একজন। ঢাকায় ইউএস-বাংলার একজন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে জানান, আবেদ সুলতানই ওই ফ্লাইটের ক্যাপ্টেইন হিসাবে ছিলেন। নেপাল টিভি জানাচ্ছে, পাইলটের সহকারী হিসাবে ছিলেন একজন নারী। যিনি মারা গেছেন বলেই ধারনা করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/এমআই/জেডএফ/এসবি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন