বিজ্ঞাপন

পুলিশ হেফাজতে হিয়া, মীমাংসা না হলে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে

March 13, 2018 | 8:37 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পড়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটির কেবিন ক্রু নাবিলা ফারহিনের (অফিসিয়াল নাম শারমিন আক্তার) মেয়ে হিয়াকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর পুলিশ উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার নাভিদ কামাল শৈবাল সারাবাংলাকে জানান, যেহেতু শিশুটির মা-বাবা অনুপস্থিত, আমরা আশা করছি হিয়ার দাদি-নানি নিজেদের মধ্যে একটা মীমাংসায় আসবেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি। শিশুটি কার কাছে থাকবে- এই সিদ্ধান্ত আমাদের জানালে থানা থেকেই হিয়াকে হস্তান্তর করা হবে।

তিনি বলেন, যদি তারা মীমাংসা করতে না পারেন তাহলে আমরা শিশুটিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠাব। আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তখন দাদি অথবা নানি হিয়ার দায়িত্ব পাবেন।

বিজ্ঞাপন

ইনায়া ইমাম হিয়ার দাদি বিবি হাজেরা সাংবাদিকদের জানান, হিয়া ছোটবেলা থেকে আমাদের কাছে আছে। এখন হঠাৎ করে দাবি করলেই তো দিয়ে দেবো না।

অন্যদিকে হিয়ার নানি মিনা জামান বলেন, আমার মেয়ে আমাকে বলেছিল কখনও যদি ওর কিছু হয়ে যায়, তাহলে হিয়া আমার কাছে থাকবে।

দুর্ঘটনার পরে সোমবার দুপু‌রে উত্তরায় নাবিলার বাসা থে‌কে হিয়া‌কে তার দা‌দি ও চা‌চি আন‌তে গে‌লে বাসায় তালা বন্ধ পান। হিয়ার স্বজনরা জানান, স্বামী দে‌শের বা‌ইরে থাকায় হিয়াকে গৃহকর্মী রুনার (২৮) কা‌ছে রে‌খে ফ্লাইটে যেতেন নাবিলা। হিয়াকে অপহরণ করা হয়েছে এমন অভিযোগ এনে উত্তরা প‌শ্চিম থানায় ওই রা‌তেই জি‌ডি (জি‌ডি নম্বর-৯০২) ক‌রেন হিয়ার দা‌দি বি‌বি হা‌জেরা।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার গৃহকর্মী রুনাকে আটক করে। রুনা দাবি করে হিয়াকে অপহরণ করেনি। এরপর গৃহকর্মীকে নিয়ে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালায় পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে মিরপুরের ভাসানটেক এলাকায় তার নানির বাড়ি থেকে হিয়াকে উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা বারিধারায় তাদের করপোরেট অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে হতাহতদের তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে তারা জানায়, দুর্ঘটনায় নাবিলা মারা গেছেন।

সারাবাংলা/এসআর/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন