বিজ্ঞাপন

বার বার সময় চাওয়া দুর্ভাগ্যজনক: আপিল বিভাগ

March 27, 2018 | 10:56 am

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীর বেগুনবাড়ি-হাতিরঝিল প্রকল্পের কারওয়ান বাজারের কাছে নির্মিত বিজিএমইএ বহুতল ভবন অপসারণে আদালতের নির্দেশনা থাকার পরও বার বার সময় চাওয়াকে দুর্ভাগ্যজনক বলে উল্লেখ করেছেন আপিল বিভাগ। এসময় আদালত বলেছেন, এভাবে বার বার সময় চাইলে আমাদের লজ্জা লাগে।

আর সময় চাইবেনা উল্লেখ করে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে মুচলেকা দিলে তবেই তাদের আবেদনের বিষয়ে আদেশ দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

মঙ্গলবার (২৭ মার্চ) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আদেশের জন্য এ নির্দেশ দেন।
সকালে এ মামলার শুনানি শুরু হলে বিজিএমইএ এর আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ডায়াসে দাঁড়ান।

বিজ্ঞাপন

এসময় প্রধান বিচারপতি আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি আদালতের মর্যাদার দিকে খেয়াল রাখবেন না। আপনি আপনাদের ক্লায়েন্টদের দিকেই বেশি মনযোগী।

এসময় আরেক বিচারপতি বলেন, আপনারা কোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন করছেন না। আরও কতবার সময় নেবেন আপনারা। গত ৪ বছরে আদেশ বাস্তবায়নে কোন পদক্ষেপ কি নেওয়া হয়েছে। আপনাদের কাজের গতি দেখলে তো মনে হয় ৫ বছরেও অপসারণ করতে পারবেন না।
আপনারা ধরে নিয়েছেন বার বার সময় চাইলেই পাওয়া যাবে।

তখন আইনজীবী সিদ্দিকী বলেন, সর্বশেষ অবস্থা কি তা আদালতকে জানানো আমার প্রফেশনাল ডিউটি।
এসময় আদালত বলেন, আপনার প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে কোর্টের মর্যাদা রক্ষা করা, এরপর ক্লায়েন্ট।
পরে আদালত তাকে আর সময় চাইবে না মর্মে মুচলেকা দেয়ার নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে আরো এক বছর সময় চেয়ে গত ৫ মার্চ আবেদন করে বিজিএমইএ। গত ২৫ মার্চ ওই আবেদনের শুনানি শেষে আজ আদেশের জন্য রাখেন আপিল বিভাগ।

আদালতে বিজিএমইএ’র পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ মঈনুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

গত বছরের ৮ অক্টোবর বিজিএমইএর বহুতল ভবনটি ভাঙতে সাত মাস সময় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তখন আদেশে আদালত বলেছিলেন, ‘এটাই শেষ সুযোগ। আর সময় দেওয়া হবে না।’ তারও আগে গত বছরের ১২ মার্চ বিজিএমইএ ভবন ৬ মাসের মধ্যে ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

রাজউকের অনুমোদন ছাড়াই কারওয়ান বাজার সংলগ্ন বেগুনবাড়ি খালে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে উল্লেখ করে ২০১০ সালের ২ অক্টোবর ইংরেজি দৈনিক ‘নিউ এজ’ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই দিনই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ডি এইচ এম মনিরউদ্দিন প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন।

বিজ্ঞাপন

এর পরদিন বিজিএমইএ ভবন কেন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করেন। এরপর ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বিজিএমইএ’র ভবন ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়ে রায় দেন।

রায়ে বিজিএমইএকে নিজস্ব অর্থায়নে ভবনটি ভাঙতে বলা হয়। ভবনটি নির্মাণের আগে ওই স্থানের ভূমি যে অবস্থায় ছিলো সে অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/ এজেডকে/জেডএফ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন