বিজ্ঞাপন

ময়নাতদন্তে শিশু সাফায়াতের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়

December 6, 2018 | 3:25 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীর বাংলামোটরে নিজ বাসা থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া শিশু সাফায়াতের ময়নাতদন্তে তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার মস্তিষ্ক ও লিভারও কিছুটা ফোলা ছিল। তবে শিশুটির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানতে পারেননি চিকিৎসকরা।

বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) মর্গে শিশু সাফায়াতের ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেক ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সাফায়াতের ময়নাতদন্তের জন্য গঠিত তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ডে আরও ছিলেন প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস ও প্রভাষক ডা. কবির সোহেল।

বিজ্ঞাপন

ময়নাতদন্ত শেষে ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, সাফায়াতের শরীরে বাহ্যিক আঘাতের চিহ্ন আছে। কপালে একটি ছোট আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তাতে কোনো রক্তক্ষরণ হয়নি।

তিনি আরও বলেন, শিশুটির মস্তিষ্ক ও লিভার কিছুটা ফোলা ছিল। তার মস্তিষ্ক, লিভার, রক্তের নমুনা ও ফুসফুস হিস্ট্রোপ্যাথলজিতে পাঠানো হয়েছে।

শিশু সাফায়াতের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে, জানতে চাইলে ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, শিশুটির শরীরে কোনো ধারালো অস্ত্রের আঘাত বা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আলামত নেই। তার কপালে যে আঘাতটি রয়েছে, তা পড়ে গিয়েও হতে পরে। তবে সেই আঘাত তার মৃত্যুর জন্য দায়ী কি না কিংবা কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে, তা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বাংলামোটরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ সাফায়াতের মরদেহ উদ্ধার করে।

জানা যায়, বাংলামোটারের ওই বাসাতে সাফায়াত (৩) ও তার বড় ভাই সুরায়াতকে (৫) নিয়ে থাকতেন নুরুজ্জামান কাজল। স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় দুই সন্তানকে নিয়ে ওই বাসাতে থাকতেন তিনি। বুধবার সকালে নুরুজ্জামান পাশের মসজিদ থেকে ঘোষণা দেন, তার ছেলে মারা গেছে। এ সময় এক হুজুরকেও ডেকে বাসার ভেতরে নিয়ে যান তিনি। ওই হুজুরও বাসায় আটকা পড়েন। পাশাপাশি বাবার হাতেই জিম্মি হয়ে পড়ে তার বড় ছেলে সুরায়াত।

এ খবর পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে ওই বাসার সামনে অবস্থান নিলে দেখতে পায়, বাসার গেটে তালা লাগিয়ে অবস্থান নিয়ে আছেন শিশুটির বাবা নুরুজ্জামান কাজল। এ সময় নুরুজ্জামান দা হাতে ভেতরে পায়চারি করতে থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনিই নিজের শিশু সন্তানটিকে হত্যা করেছেন।

বাসার ভেতরে থাকা সুরায়াত ও ওই হুজুরের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাসাটির ভেতরে ঢুকতে দেরি করে। পরে ভেতরে থাকা হুজুরকে সাফায়াতের জানাজার কথা বলে তার বাবা নুরুজ্জামানসহ সবাইকে বেরিয়ে আসতে বলে। পুলিশের আশ্বাসে নুরুজ্জামান বেরিয়ে এলে পুলিশ তাকে আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

এ সময় শিশু সুরায়াতকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ও শিশু সাফায়াতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

সারাবাংলা/এসএসআর/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন