বিজ্ঞাপন

নির্বাচনে অংশগ্রহণ রাজকুমারীর, তীব্র সমালোচনা রাজার

February 9, 2019 | 2:42 pm

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রচলিত রীতি ভেঙে প্রধানমন্ত্রী পদে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন থাইল্যান্ডের রাজকুমারী উবোলরতনা রাজকন্যা সিরিভাধানা বারনাভাদি। তার এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশটির রাজা ও তার ছোট ভাই মহা ভাজিরালংকর্ন। খবর বিবিসির।

রাজপ্রাসাদ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ভাজিরালংকর্ন বলেছেন, তার বোনের সিদ্ধান্তটি থাইল্যান্ডের প্রথা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিরোধী।

৬৭ বছর বয়সী উবোলরতনা থাই রাকসা চার্ট পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হয়েছেন। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ও সর্বশেষ ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার অনুগত দল হচ্ছে থাই রাকসা চার্ট পার্টি।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডের রাজ পরিবার সাধারণত রাজনীতিতে সরাসরি অংশগ্রহণ করা থেকে দূরত্ব বজায় রাখে। কিন্তু সে প্রথা ভাঙতে যাচ্ছেন উবোলরতনা। থাই রাজপরিবারের কোনো সদস্যেরও সরাসরি রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা এই প্রথম।

আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী হতে লড়বেন থাই রাজকুমারী!

এদিকে বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজার হস্তক্ষেপের কারণে রাজকুমারীর প্রার্থিতা বাতিল করে দিতে পারে থাইল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, প্রায় ৫ বছর সামরিক শাসনের পর থাইল্যান্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনে ৬ হাজারের বেশি প্রার্থী তাদের মনোনয়ন জমা দিয়েছে।

এদিকে, থাইল্যান্ডের বর্তমান সামরিক শাসিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান-ওচা নিজেও এই নির্বাচনে ফের প্রধানমন্ত্রী পদে লড়বেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া, ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ইংলাক সিনাওয়াত্রা সরকারকে উৎখাত করে থাইল্যান্ডের ক্ষমতা দখল করে নিয়েছিলেন তিনি। সামরিক বাহিনীর অনুগত পালং প্রচারাত পার্টি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি।

যা বলেছেন রাজা

সকল থাই টিভি চ্যানেলে প্রচারিত এক বিবৃতিতে থাই রাজা বলেছেন, কাগজপত্রে নিজের রাজ উপাধি পরিত্যাগ করলেও আদতে তার জীবনযাপনে রাজকীয় স্ট্যাটাস বজায় রেখেছেন রাজকুমারী। নিজেকে চাকরি রাজবংশের একজন সদস্য হিসেবেই জীবনযাপন অব্যাহত রেখেছেন।

তিনি বলেন, কিন্তু রাজ পরিবারের কোন সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে জড়ানো সকলভাবেই এই দেশের ঐতিহ্য, প্রথা ও সংস্কৃতি বিরোধী। এটাকে চরম অনুচিত কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে বলা হয়ত, সংবিধান অনুসারে, রাজ পরিবার রাজনীতিতে নিরপেক্ষতা অবলম্বন করবে।

কে এই উবোলরতনা

রাজকুমারী উবোলরতনা রাজকন্যা সিরিভাধানা বারনাভাদির জন্ম ১৯৫১ সালে। তিনি থাইল্যান্ডের প্রয়াত রাজা ভূমিবল ভূমিবল অতুল্যতেজের জ্যেষ্ঠ সন্তান। ভূমিবল ২০১৬ সালে মারা যান।

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুয়েটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে পড়াশোনা করেন ও পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে এক মার্কিনীকে বিয়ে করে নিজের রাজ সম্মান হারান।

নব্বইয়ের দশকে ওই মার্কিনীর সঙ্গে রাজকুমারীর বিচ্ছেদ হলে তিনি দেশে ফিরে আসেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে রাজপরিবারের সদস্যের সম্মান ফিরিয়ে দেওয়া না হলেও সাধারণ মানুষ তাকে রাজকুমারী হিসেবেই গণ্য করে থাকে।

এদিকে, সিনাওয়াত্রা পরিবারের সঙ্গেও রাজকুমারী সিরিবাধনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।

এছাড়া তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকেন ও একাধিক থাই সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তিনি তিন সন্তানের জননী। এর মধ্যে একজন ২০০৪ সালে সুনামিতে মারা গেছে।

সারাবাংলা/ আরএ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন