বিজ্ঞাপন

রাজু-রোকেয়ায় অনশন চলছেই

March 14, 2019 | 12:01 pm

।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন করছেন বিভিন্ন হলের চার ছাত্র। আর রোকেয়া হলের গেটে অনশন করছেন ওই হলের পাঁচ ছাত্রী। অনশনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা দীর্ঘ সময় ধরে অনশন করে গেলেও এখন পর্যন্ত হল বা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ তাদের সঙ্গে দেখা করেননি। যদিও রোকেয় হলের প্রভোস্ট বলছেন, শিক্ষার্থীদের আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হলেও তারা তা মানেনি।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকালে রোকেয়া হলের সামনে গিয়ে দেখা যায়, হলের পাঁচ ছাত্রী ঠাঁই বসে আছেন হল গেটে। বুধবার (১৩ মার্চ) রাত ৯টায় অনশন শুরু করেন তারা। অন্যদিকে, রাজু ভাস্কর্যে অনশনরতরা বসেছেন মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাতে। সোমবার (১১ মার্চ) অনুষ্ঠিত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে এই শিক্ষার্থীরা অনশনে বসেছেন। এরই মধ্যে অন্য শিক্ষার্থীরাও এসে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন অনশনরতদের সঙ্গে।

বিজ্ঞাপন

রোকেয়া হলের গেটে অনশনরত পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন— রাফিয়া সুলতানা, শ্রবণা শফিক দিপ্তী, শেখ সায়িদা আফরিন শাফি, প্রমী খিসা ও জয়নী রয়না। হল গেটের সামনে কাঁথা-চাদর বিছিয়ে গেটে হেলান দিয়ে তারা বসে আছেন। হলের গেটে এবং তাদের আশপাশে পোস্টার ও প্ল্যাকার্ডে লিখে রেখেছেন তাদের চার দফা দাবি।

যে চারটি দাবিতে তারা অনশন করছেন সেগুলো হলো— রোকেয়া হল সংসদের পুনঃনির্বাচন, হল প্রভোস্টের পদত্যাগ, শিক্ষার্থীদের নামে মামলা প্রত্যাহার ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অনশনরত সায়িদা আফরিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা রোকেয়া হলের পুনঃনির্বাচন, হল প্রভোস্টের পদত্যাগসহ চার দাবিতে অনশন করছি। আমরা হল প্রধ্যক্ষের সঙ্গে দেখাও করতে চেয়েছি। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি।’

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা সারাবাংলাকে বলেন, ‘কাল সারাটা দিন অপেক্ষা করেছি। তাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে আমার সঙ্গে বসতে। তারা রাত ১-২টার দিকে আমার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছে। আমি তাদের সঙ্গে ফোনে ১ ঘণ্টা কথাও বলেছি। আমি দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে সব বলব।’

এদিকে, রাজু ভাস্কর্যের অনশনরতরা বলছেন, রোকেয়া হলের ছাত্রীরা কেবল তাদের হলের পুনঃনির্বাচন দাবি করলেও এই ছাত্ররা অনশন করছেন ডাকসুসহ সব হল সংসদের পুনঃনির্বাচনের দাবিতে। মঙ্গলবার রাত থেকে অনশনে বসা এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন এরই মধ্যে একজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বিচ্ছিন্নভাবে অনেক শিক্ষার্থীই এসে তাদের সমর্থন জানাচ্ছেন, একাত্মতা জানিয়ে বসে পড়ছেন তাদের পাশে।

অনশনরত একজন শিক্ষার্থী সারাবাংলাকে বলেন, আমরা মঙ্গলবার থেকে অনশন করছি। আমাদের দাবি, সব হল ও ডাকসুতে ফের ভোট নেওয়া হোক। আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সবাই হয়তো এখানে আসেননি, কিন্তু আমাদের দাবি তাদের সবারই দাবি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে কেউ দেখা করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বিকার। তারা আমাদের অভিভাবক হলেও আমাদের নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী রোকেয়া হলের অনশনরত ছাত্রীদের প্রসঙ্গে সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রতিনিয়ত তাদের সঙ্গে ফোনে কথা হচ্ছে। তারা হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। গেট বন্ধ করতে দিচ্ছে না। আন্দোলনের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই, কিন্তু হলের আবাসিকতা ও নিয়ম-কানুনকে মেনে তারা আন্দোলন করবে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে যারা বাধা দিচ্ছে, তাদের আমরা বিরত থাকতে বলব।’

সারাবাংলা/কেকে/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন