বিজ্ঞাপন

শিক্ষক লাঞ্ছনার মামলায় সেলিম ওসমানকে অব্যাহতি

October 23, 2018 | 3:49 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জে স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তিকে কান ধরে উঠবস ও লাঞ্ছনার মামলায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত। আদালতে মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) এ মামলায় চার্জ গঠনের দিন ছিল।

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. এ কে এম এমদাদুল হক সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে অব্যাহতি দেন। তবে মামলার অপর আসামি মো. অপুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী দিন ঠিক করা হয়েছে ১৮ ডিসেম্বর।

চার্জগঠনের শুনানিকালে আসামি সেলিম ওসমান ও মো. অপু এবং ভুক্তভোগী শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ওই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আদালতে শুনানিকালে শ্যামল কান্তি বলেন, ‘ঘটনার দিন সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান তাকে থাপ্পড় মারেন ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। তার ওই থাপ্পড়ের কারণে শ্যামল কান্তি এখন দুই কানে শুনতে পান না। কানে হিয়ারিং যন্ত্র লাগিয়ে তাকে চলতে হয়।’

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবির বাবুলও শ্যামল কন্তির বক্তব্য সমর্থন করে বলেন, ‘শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর। তাদের এভাবে অপমান করা মানে গোটা জাতিকে অপমান করা। যেহেতু মামলার জুডিশিয়াল প্রতিবেদনে দুই জনের বিরুদ্ধেই শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে মারধর করে আহত করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই উভয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হোক।’

অন্যদিকে আসামি সেলিম ওসমানের পক্ষে ব্যারিস্টার মো. রায়হান, অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান ও মোজাম্মেল হক শুনানি করেন।

বিজ্ঞাপন

শুনানি শেষে বিচারক আসামি সেলিম ওসমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার মতো কোনো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতি দেন। অন্যদিকে আসামি মো. অপুর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩২৩ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন।

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে ২০১৬ সালের ১৩ মে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত করা হয়। ওই লাঞ্ছনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।

স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমান সেদিন ওই শিক্ষককে কান ধরে উঠ-বস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মর্মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতেও তা দেখা যায়।

২০১৬ সালের ১০ অগাস্ট ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে নারায়ণগঞ্জের স্কুল শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় পুলিশ প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে পুরো ঘটনাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নারায়ণগঞ্জ আদালত থেকে ঢাকার সিজেএম আদালতে বিচারের জন্য বদলির নির্দেশ দেন।

সারাবাংলা/এআই/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন