বিজ্ঞাপন

‘সংলাপ ব্যর্থ হলে দায় সরকারের’

November 7, 2018 | 4:18 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সংলাপ সফল না হলে সেই দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, জনগণের দাবি নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল, আলোচনার সুযোগ রয়েছে। সংলাপ যদি সফল না হয়, কোনো সমাধান না আসে; তাহলে সেই দায় সরকারের।

বুধবার (৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ শেষে এক ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। এসময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, বল এখন সরকারে কোর্টে। সবকিছু যেন শান্তিপূর্ণ থাকে, সে কারণেই আমরা সংলাপ করেছি।

বিজ্ঞাপন

ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা কিন্তু আন্দোলনের মধ্যেই আছি। সংলাপকেও আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেখছি। আমরা আমাদের সাত দফা দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। সরকার যদি আমাদের দাবি না মানে, আগামীকাল তফসিল ঘোষণা করে, তাহলে আমরা আগেই আমাদের কর্মসূচি ঘোষণা করে রেখেছি। আমরা নির্বাচন কমিশন অভিমুখে পদযাত্রা করব।

আন্দোলন করে দাবি আদায়ে ক্ষেত্রে কোনো অঘটন ঘটলে তিার দায় সরকারের বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান হবে। আমরা সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। আমাদের বলা হয়েছিল, আলোচনার সুযোগ আছে। এখন সরকার যদি না চায় বা সংলাপ সমাধানের দিকে না যায় সেই দায় সরকারের। আমরা জনগণের দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। সংলাপ যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের দাবি আদায়ের চেষ্টা করব।

বিজ্ঞাপন

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আইনের প্রক্রিয়া। এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষে চাওয়া হয়েছে।

‘আমরা সন্তুষ্ট কি না— তা এখনই বলতে চাচ্ছি না। আমরা জনগণের কাছে যাচ্ছি, জনগণের মাধ্যমেই আমরা সন্তুষ্টি আদায় করে নেবো। আগামীকাল আমাদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে,’— বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচন সামনে রেখে নতুন কোনো মামলায় নেতাকর্মীদের জড়ানো হবে না।

এর আগে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপের মাধ্যমে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের সংলাপ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে চাইলে এর পরও ছোট পরিসরে সরকার দলীয়দের সঙ্গে বিরোধী দল ও জোটের আলোচনা চলতে পারে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার সকাল ১১টায় শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফার সংলাপ শেষ হয় দুপুর ২টার কিছু পর। সংলাপে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের পক্ষে অংশ নেন ১২ জন। অন্যদিকে, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে অংশ নেন ১১ নেতা।

এর আগে, ১ নভেম্বরের সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে তাদের সাত দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। সংলাপ শেষে গণভবন থেকে বেরিয়ে উভয় পক্ষের নেতাদের বড় একটি অংশই গণমাধ্যমে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান। তাতে একদিকে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট এই সংলাপকে ‘খোলামেলা’ ও ‘ফলপ্রসূ’ বলে অভিহিত করলেও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সংলাপে ‘আশাপ্রদ’ কিছু দেখেননি বলেই জানান।

দ্বিতীয় দফার বৈঠকের পরও ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের কাছ থেকে সংলাপ নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্যই পাওয়া গেছে। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সংলাপ মনঃপূত হয়নি।’ সংলা‌পে কোনো সম‌ঝোতা হ‌য়ে‌ছে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো সম‌ঝোতা হয়নি।

অন্যদিকে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মা‌লেক রতন সাংবাদিকদের ব‌লেন, ‘সংলাপ শুধু সংলাপই।’ এর বাইরে তিনি আর কোনো মন্তব্য করেননি।

আরও পড়ুন-

আ.লীগ-ঐক্যফ্রন্ট দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু

দ্বিতীয় দফা সংলাপে ‘প্রত্যাশা’ পূরণের আশাবাদ

সমাবেশ করায় ঐক্যফ্রন্টকে অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

দ্বিতীয় দফা সংলাপে আজ যাচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের ১১ সদস্য

সংলাপে ‘গায়েবি মামলা’র আংশিক তালিকা দিয়েছে বিএনপি

দ্বিতীয় দফার সংলাপে অংশ নিতে গণভবনে ঐক্যফ্রন্ট নেতারা

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এটি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন