September 22, 2018 | 12:25 pm
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক সফরের অংশ হিসেবে বিমান, ট্রেনের পর এবার সড়কপথে কক্সবাজারের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী সফর শুরু হয়েছে
সফর শুরুর আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই সফরে আমরা নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার ব্যাপারে কথা বলবো। পাশাপাশি কোন্দল মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেব।
শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে থেকে সড়ক পথে কক্সবাজারের উদ্দেশে সাংগঠনিক সফর শুরুর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ সফর থেকে আমাদের সরকারের বিপুল উন্নয়ন ও অর্জনের বার্তাগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দিবো। আমরা আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার ব্যাপারে কথা বলব। দলীয় কোন্দল মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলব।
দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রাখছে দাবি করে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের বিশ্বাস আছে। সেই সঙ্গে গত ১০ বছরে অর্জিত উন্নয়ন ও অর্জন এবং জনগণের ওপর যে আস্থা তাতে করে জয় আমাদের নিশ্চিত। পাশাপাশি আইআরআইয়ের যে সমীক্ষা, জনমত জরিপ তাতে দেখা গিয়েছে আমাদের নেত্রীর জনপ্রিয়তা ৬৬ শতাংশ। আর দল আওয়ামী লীগের ৬৪ শতাংশ পপুলারিটি। এটিই বাংলাদেশের ছবি, এটিই জনমতের ছবি। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নৌকা ভাসতে-ভাসতে ডিসেম্বরে বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাবে।
সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে যখন কক্সবাজারের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ঠিক তখন রাজধানীর গুলিস্থান নাট্যমঞ্চে ‘যুক্তফ্রন্ট’ ও ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার’ সমাবেশ। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা়, সমাবেশে দেখা যেতে পারে বিএনপির একাধিক নেতাকেও। রাজনীতির মাঠে বিরোধীপক্ষ যখন ‘বৃহত্তর ঐক্যের’ দিকে এগোচ্ছে তখন এমন যাত্রা কতটা সহজ হবে আওয়ামী লীগের জন্য সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এ নেতা বলেন, আমরা যাচ্ছি চট্টগ্রাম। তারা সভা করবে ঢাকায়। সমস্যাটা কোথায়? সমস্যা তো দেখি না। সমস্যার তো কোনো কারণ নেই. এমন ভাবেই প্রতিক্রিয়া জানালেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। অনুমতি নিয়ে তারা যেকোনো সময় মিটিং করতে পারে। এক্ষেত্রে সরকারের সামান্যতম বাধা থাকার কোনো কারণ নেই। কাজেই তারা তাদের সভা করবে। আমাদের অসুবিধাটা কোথায়! তারা তাদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সভা করবে। এর মধ্যে সহিংস তার কোন উপাদান যদি যুক্ত হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।
সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সিলেট থেকে যাত্রা শুরুর পর ট্রেনযাত্রা করেছি নীলফামারী পর্যন্ত। টাঙ্গাইল থেকে শুরু করে সর্বশেষ আমরা রাত ১১ টায় নীলফামারীতে সভা করেছি। এখন আমরা সড়ক পথে যাচ্ছি। আজ আমরা চট্টগ্রাম পৌঁছাব ইনশাল্লাহ্। আর পথে পথে যে নির্ধারিত সভাগুলোতে অংশ নেবো। প্রথম আমরা পথসভা করব ইলিয়টগঞ্জে। পর এরপর কুমিল্লা টাউন হল হয়ে চৌদ্দগ্রাম সর্বশেষ ফেনী টাউন টাউন হল পথসভায় অংশ নেবো। রাতে আমরা চট্টগ্রাম পৌঁছাব।
এর পরে সেখানে রাতে অবস্থান শেষে পরের দিন রোববার সকাল ৯টায় আমরা চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার যাব। যাত্রাপথে প্রথম সভা করব কর্ণফুলীতে। এরপর লোহাগড়ায় সমাবেশ করব। সবশেষ চকরিয়ার সমাবেশ হয়ে কক্সবাজার ঈদগাহ মাঠে সমাপনী জনসভায় অংশ নেব।
সারাবাংলা/এমএমএইচ/একে