বিজ্ঞাপন

‘অগ্রযাত্রায় দেশের জনগণ ও গণমাধ্যম আমাদের পাশে থাকবে’

September 2, 2018 | 4:21 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা বাস্তবায়নে আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই অনুপ্রেরণা থেকেই বিমসটেকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ফোরামে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমি আশা করি, আমাদের এই অগ্রযাত্রায় দেশের জনগণ ও গণমাধ্যম আমাদের পাশে থাকবে।

রোববার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে নেপালে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলন নিয়ে দেশে ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

গত শুক্রবার (৩১ আগস্ট) নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া ১টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি ১৮৭৪ যোগে কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানী ঢাকার শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শেখ হাসিনা। গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) সকালে নেপালের কাঠমান্ডু আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে চতুর্থ বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক)’র চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সফরকালে বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি চতুর্থ বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশন এবং শুক্রবার সকালে সমাপনী অধিবেশনসহ সম্মেলনের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নেন। বিমসটেকভুক্ত অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে সম্মেলনে যোগ দেন ধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্যও রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে কাঠমান্ডুর হোটেল সোয়ালটি ক্রাউনি প্লাজায় চতুর্থ বিমসটেক সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশন শুরু হয়। নেপালের জাতীয় সঙ্গীতের পরিবেশনের মধ্যে শুরু হয় সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভুটানের অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দাসো শেরিং ওয়াংচুক, শ্রীলংকান প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা, থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রিয়ুথ চ্যান-ও-চার, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেন।

বিজ্ঞাপন

কাঠমান্ডুর হোটেল সোয়ালটি ক্রাউন প্লাজায় বিকালে সাতটি দেশের আঞ্চলিক এই জোটের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিমসটেক সম্মেলনের সাইড লাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন। শুক্রবার সকালে বিমসটেকের সমাপনী অনুষ্ঠানসহ রিট্রিট সেশনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। একটি যৌথ ঘোষণার মধ্য দিয়ে এবারের শীর্ষ সম্মেলনের সমাপ্তি ঘটে।

এই উপ-আঞ্চলিক সংস্থাটি ১৯৯৭ সালের ৬ জুন ব্যাংকক ঘোষণার মধ্য দিয়ে গঠিত হয়। এর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ৫টি দক্ষিণ এশিয়ার। এগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা। অন্য দুটি দেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড। বিশ্বায়নের আগ্রাসন মোকাবেলা করে আঞ্চলিক সম্পদ এবং ভৌগোলিক সুবিধাদি কাজে লাগিয়ে সবার স্বার্থে পারষ্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করা হচ্ছে এই ধরনের জোট গঠনের উদ্দেশ্য।

সারাবাংলা/এনআর/একে

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন