বিজ্ঞাপন

‘অপ্রতিরোধ্য দেশের অগ্রযাত্রা, ফলের পুষ্টি দেবে নতুন মাত্রা’

June 22, 2018 | 7:43 pm

।। মাকসুদ আজীজ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীর ফার্মগেটের আ. কা. মু গিয়াসউদ্দিন মিলকী অডিটোরিয়ামে শুক্রবার (২২ জুন) শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল প্রদর্শনী

এ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ৯টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে প্রদর্শনীর স্থান পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‍্যালি শেষে কৃষিবিদ মিলনায়তনে ফলদ বৃক্ষরোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল সপ্তাহ-২০১৮ এর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে ‘মানবসম্পদ উন্নয়নে পুষ্টির ভূমিকা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. কামাল উদ্দিন আহামদ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে আগে প্রচুর পরিমাণ ফলজ উদ্ভিদ ছিল, সেখান থেকে প্রচুর পুষ্টি পাওয়া যেত। কিন্তু এ বিষয়ে অজ্ঞতা এবং আবসনের চাপে ফলজ গাছ কমে গেছে, যার প্রভাব আমাদের পুষ্টিতে পড়ছে।’

ড. কামাল আরও বলেন, ‘আমরা যখন বনায়ন আন্দোলন করেছিলাম সেখানে ইউক্যালিপটাস গাছ দিয়ে ভরে ফেলেছি। এটা একটা ভুল ছিল। ফলজ এমন অনেক গাছ আছে যেগুলো থেকে ফল, কাঠ, ঝড় থেকে রাক্ষা ইত্যাদি নানারকমের উপযোগিতা আছে। এ গাছগুলো বনায়ন করা হলে পুষ্টির সংস্থান হয়, পাখি ও পশুদের জন্যেও অভয়াশ্রম তৈরি হয়।’

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমাদের দেশে সঠিকভাবে সংরক্ষণের অভাবে প্রচুর ফল নষ্ট হয়। আমরা যদি ফল সংরক্ষণ এবং পরিবহনে সতর্ক হই তাহলে এখান থেকে অনেক পুষ্টি পাওয়া সম্ভব।’

এদিকে আ. কা. মু গিয়াসউদ্দিন মিলকী অডিটোরিয়াম কানায় কানায় ভরে উঠেছে ফল আর ফল প্রেমিদের পদচারণায়। ধুঁকতে দুয়ারেই রাখা হয়েছে নানান জাতের ফল আর ফলের গাছ। ছোট ছোট টবের গাছ নুয়ে পড়েছে ফলের ভারে। একপাশে দেয়াল জুড়ে লাগানো আছে শতাশিক ফলের ছবি আর নাম। আরেকপাশে কাঁঠাল কর্নার। সেখানে আছে কাঁঠাল দিয়ে তৈরি নানান পদ।

বিজ্ঞাপন

কাঁঠালের কর্নারের পরেই আমের রাজ্য। সেখানে পঞ্চাশের বেশি জাতের আম রাখা হয়েছে। তারা দেখতে যেমন বাহারি তেমনি বাহারি তাদের নাম, বালিশ আম, কলার মতো দেখতে বানান ম্যাঙ্গো, কালো কালো আন্ধারবামিন আম আরও কত যে জাত, কোনটা আগে পাঁকে, কোনটা পরে, কোনোটা বড় কোনোটা ছোট।

আম কাঁঠাল ছাড়াও সেখানে স্থান পেয়েছে দেশীয় অনেক অপ্রচলিত ফল যেমন, বিলিম্বি, সতকড়া, লালিমা, লুকলুকি, শরীফা, গোলপাতা ফল।

বিদেশি অনেক ফল যেগুলো এখন আর বাংলাদেশেও উৎপাদিত হচ্ছে প্রদর্শিত হয় এ মেলায়। এর মধ্যে, পিচ, পাম, অ্যাভোকাডো, স্টার অ্যাাপেল, আলুবোখরা ছিল উল্লেখযোগ্য।

‘অপ্রতিরোধ্য দেশের অগ্রযাত্রা, ফলের পুষ্টি দেবে নতুন মাত্রা’ স্লোগান সামনে নিয়ে চলা এ ফল প্রদর্শনী চলবে আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত।

সারাবাংলা/এমএ/একে

১০ বছরের অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে বাজেট: কৃষিমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন