বিজ্ঞাপন

অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত আইন ও নীতিমালা জরুরি

April 11, 2018 | 9:38 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৫৯ শতাংশ হয় অসংক্রামক রোগের কারণে। অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে অস্বাস্থ্যকর খাদ্য, পর্যাপ্ত আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সম্মিলত উদ্যোগ নিতে হবে।

বুধবার (১১ এপ্রিল) ইনস্টিটিটিউট অব পাবলিক হেলথ-এর (আইপিএইচ) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

এনসিডিসি, স্বাস্থ্য অধিদফতর, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট ও সিএনআরএস এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী ও দ্যা ইউনিয়েনের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

বিজ্ঞাপন

সোহেল রেজা চৌধুরী তার প্রবন্ধে বলেন, দেশে আশংকাজনক হারে অসংক্রামক রোগ বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশে ৫৯ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগের কারণে হচ্ছে। আর এর কারণ অস্বাস্থ্যকর খাবার। অন্যদিকে, মাত্রাতিরিক্ত লবন হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। গ্রাম থেকে নগর এলাকায় মানুষ লবন বেশি ব্যবহার করেন, মন্তব্য তার।

সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ও মান রক্ষার সঙ্গে সরকারের ৭টি মন্ত্রণালয় এবং ২৫টি আইন রয়েছে। তাদের সমন্বিতভাবে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। তাহলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও মান রক্ষা হবে।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রি. (অব.) আব্দুল মালিক বলেন, বাঁচার জন্য খাদ্যের প্রয়োজন, কিন্তু অস্বাস্থ্যকর খাবার জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই। পুষ্টিকর খাবারের নিশ্চয়তার পাশাপাশি জীবনধারা পরিবর্তন করে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে হবে এবং শিশুদের এই স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অন্যন্যা রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, সুস্বাস্থ্য রক্ষায় লবন, চিনি, চর্বি এই তিনের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জনসচেতনতা যেমন দরকার, পাশাপাশি আমাদের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে পর্যান্ত আইনের দরকার, প্রয়োজন আইনের প্রয়োগ।

একইসঙ্গে ফাস্টফুড, জাঙ্কফুড ও কোমল পানীয়সহ অনন্যা অস্বাস্থ্যকর খাবারগুলোতে অধিক হারে ট্যাক্স বাড়াতে হবে বলেও মত দেন তারা। বক্তারা বলেন, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতে সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।

সারাবাংলা/জেএ/এটি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন