বিজ্ঞাপন

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: মহাবিপর্যয়ের আশঙ্কা

November 14, 2018 | 9:16 am

।। জাকিয়া আহমেদ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ইউরিন ইনফেকশন নিয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয় চার বছরের সিয়াম (ছদ্মনাম)। তার মূত্র নমুনার কালচার ও ড্রাগ সেনসিটিভিটি টেস্টের রিপোর্টে দেখা যায়, তার চিকিৎসায় ব্যবহার হতে পারে— এমন ১৮টি অ্যান্টিবায়োটিকের সবগুলোর জন্যই সিয়ামের শরীর ‘রেজিস্ট্যান্ট’। অর্থাৎ, এসব ওষুধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে তার শরীরে। ফলে কোনো ওষুধ না পাওয়ায় বাঁচানো যায়নি সিয়ামকে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইমন ইসলাম (ছদ্মনাম) উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন জটিলতায় আক্রান্ত। সেসময় ইউরিন ইনফেকশন নিয়ে চিকিৎসার জন্য গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেন। পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায়, তার শরীর ৯টি অ্যান্টিবায়োটিকের জন্য রেজিস্ট্যান্ট। তাকে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের অসুস্থতায় তার শরীরের এ ওষুধ প্রতিরোধী অবস্থার কথা চিকিৎসকদের জানাতে হবে।

কেবল সিয়াম ও ইমন নন, তাদের মতো আরও অনেক রোগীর শরীরই অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে। এই প্রবণতা এত বেশি মাত্রায় এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে যে গোটা বিশ্বই বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

তারা বলছেন, কথায় কথায় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতার কারণে বিশ্বজুড়েই এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এতে করে বিশ্বে এখন এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, কিছুদিন পর যেকোনো সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ অবস্থাকে তুলনা করেছে অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার হওয়ার আগের যুগের সঙ্গে।

চিকিৎসকরা বলছেন, বিভিন্ন ধরনের অণুজীব, বিশেষ করে ব্যাকটেরিয়াঘটিত বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে যে ওষুধ, তা হলো অ্যান্টিবায়োটিক। সংক্রমণকারী অণুজীবরে ধরনের ওপর নির্ভর করে এর চিকিৎসায় কোন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হবে। এর বিপরীতে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স মূলত এমন একটি শারীরিক অবস্থা, যখন শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক আর কাজ করে না। ফলে শরীরের সংক্রমণ উপশম করার কোনো উপায় থাকে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বের মোট ওষুধের ২১ দশমিত ৩ শতাংশ অ্যান্টিবায়োটিক। আর মোট অ্যান্টিবায়োটিকের মধ্যে ৭০ শতাংশ ব্যবহৃত হয় প্রাণী স্বাস্থ্যের চিকিৎসায়, আর ৩০ শতাংশ ব্যবহৃত হয় মানবদেহের জন্য। এই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি শরীর প্রতিরোধ গড়ে তুললে সে অবস্থাকে বলা হয় অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। এই প্রবণতার কারণে প্রতিবছর বিশ্বে সাত লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। ২০৫০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে এক কোটিতে!

বিজ্ঞাপন

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সে কত মানুষের মৃত্যু হয়, তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। দেশের চিকিৎসকরাও বলছেন, মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্সের কারণে আইসিইউতে কত রোগী মারা যান, এর কোনো জরিপ সেভাবে নেই। তবে আইসিইউতে মৃত্যু হওয়া রোগীদের বড় একটি অংশই মারা যান অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে।

চিকিৎসকরা বলছেন, সঠিক পরিমাণ ও মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক না খাওয়া অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের অন্যতম কারণ। কারণ, সঠিক মাত্রায় ও সঠিক সময়ে অ্যান্টিবায়োটিক না খেলে শরীরে সংক্রমণের কারণ হয়ে ওঠা ব্যাকটেরিয়া বা অণুজীবগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয় না, বরং আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে পরবর্তী সময়ে ওই অ্যান্টিবায়োটিক খেলেও তা আর শরীরে কাজ করে না। একই কথা প্রযোজ্য অ্যান্টিবায়োটিকের নির্ধারিত কোর্স শেষ না করার ক্ষেত্রেও। অনেকেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পর সুস্থ বোধ করায় ওষুধের কোর্স শেষ করেন না। এ ক্ষেত্রেও সংক্রমণকারী অণুজীবগুলো ওই অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের ক্ষমতা লাভ করে।

আরও পড়ুন: মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবায় সহযোগিতা করছে ‘মামণি’

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স, স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্যসেবা নীতিমালা, অ্যান্টিবায়োটিক

বিজ্ঞাপন

চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে প্রায় দুই লাখের বেশি ওষুধের দোকান রয়েছে, রয়েছেন অনেক হাতুড়ি চিকিৎসক। অনেকেই আবার ওষুধের দোকানের বিক্রয়কর্মীর সঙ্গে কথা বলে নিজে নিজেই ওষুধ খান। কেউ কেউ দ্রুত আরোগ্য পেতে সাধারণ অসুখেও অ্যান্টিবায়োটিক খান। চিকিৎসকদের মধ্যেও খুব প্রয়োজন ছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিক লেখার প্রবণতা রয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে তিন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক। মূলত এসব কারণেই অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে।

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সকে একটি অনাগত ঝুঁকি উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন অনুষদে ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, একটি অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করলে আরেকটি দিতে হয়। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, কোনো কোনো সময় বিকল্প সেই অ্যান্টিবায়োটিকও কাজ করছে না। সে সময় তার চেয়েও বেশি কার্যকারিতা ও বেশি দামের অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হয়। অর্থাৎ, সাধারণ যে অ্যান্টিবায়োটিকেই একটি রোগ সেরে যাওয়ার কথা, এখন তার পরের প্রজন্মের অ্যান্টিবায়োটিকেও সেই কার্যকারিতা পাওয়া যাচ্ছে না। অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহারের কারণেই এই অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি হচ্ছে মানব শরীরে।

দুই থেকে তিন দিন পর অসুস্থতা কমে গেলেই ওষুধ খাওয়া বন্ধের প্রবণতার কথা উল্লেখ করে এই চিকিৎসক বলেন, এটা কখনোই করা যাবে না। কারণ, একজন রোগীর অসুস্থতার মাত্রা অনুযায়ী চিকিৎসক ওষুধ দিয়ে থাকেন। সেই মাত্রা পূরণ না করা হলে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকবেই। বিশেষ করে গর্ভবতী, শিশু ও বৃদ্ধদের বেলায় আরও বেশি সতর্কতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে রোগীদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ বলেন, কখনোই পাড়া-মহল্লার ওষুধের দোকান থেকে ব্যবস্থাপত্র (প্রেসক্রিপশন) ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না এবং চিকিৎসকের দেওয়া পূর্ণমাত্রার ওষুধ খেতে হবে। একইসঙ্গে ওষুধের দোকানগুলোতে প্রশিক্ষিত বিক্রয়কর্মী (ফার্মাসিস্ট) রাখতে হবে।

জানতে চাইলে শুরুতেই অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সকে এখনকার সময়ে ‘খুব কমন সমস্যা’ বলে অভিহিত করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মেডিকেল অফিসার ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল। তিনি বলেন, এর জন্য অবাধে অ্যান্টিবায়োটিক লেখা ও খাওয়ার প্রবণতাই দায়ী। হাতুড়ে চিকিৎসক ও ফার্মেসিতে ওষুধ বিক্রেতারা দেদারছে অ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছে। মানুষও তাই খাচ্ছে। আবার অনেকে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী খেলেও একটু সুস্থ হলেই ফুল কোর্স কমপ্লিট করছেন না। আবার অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার সময় নির্ধারিত থাকলেও সেখানেও হেরফের হচ্ছে। আর তখনই ব্যাকটেরিয়াগুলো নতুন ধরনের বৈশিষ্ট্য অর্জন করছে। ফলে, অ্যান্টিবায়োটিকে আর কাজ হচ্ছে না। ইনফেকশন রক্তে ছড়িয়ে পড়ার কারণে অনেকে মারাও যাচ্ছে।

দীর্ঘ দিন ধরে অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে কাজ করছেন বিএসএমএমইউয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাইদুর রহমান। এককথায় তার বক্তব্য, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের বর্তমান অবস্থা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সকে দেশের অন্যতম মারাত্মক ও সামাজিক সমস্যা হিসেবে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সিতেশ চন্দ্র বাছার। তিনি সারাাবংলাকে বলেন, আইসিইউ বা নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন একজন রোগীর যখন অন্য সব অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা হারায়, তখন কারবাপেনেম শ্রেণির একটি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। এই অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতি যদি কোনো রোগীর শরীরে রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়, তাহলে তার জন্য অন্য কোনো ওষুধ থাকবে না। ওষুধ না পেয়েই মারা যাবে ওই রোগী। আশঙ্কার কথা, এরই মধ্যে কোথাও কোথাও কারবাপেনেম রেজিস্ট্যান্সের তথ্যও পাওয়া যাচ্ছে। এটা সারাবিশ্বের চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্যই একটি নতুন বিপর্যয় হয়ে আসবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশসহ এশিয়ার ১১টি দেশের অনেক অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পরেছে। আর এ জন্য ক্যানসার, অস্ত্রোপচারসহ জটিল রোগগুলোর চিকিৎসা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে।

একই মত দিলেন ডা. গুলজার হোসেন উজ্জ্বল। তিনি বলেন, আইসিইউতে অনেক রোগীরাই থাকেন সেপটিসেমিয়ার রোগী। এর কারণও সেই অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। চিকিৎসকরা তাকে যে অ্যান্টিবায়োটিক দিচ্ছেন, সেগুলো কাজ করছে না এবং রোগী মারা যাচ্ছেন।

বিএসএমএমইউ ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যপক ডা. আবদুর রহিম বলেন, প্রস্রাবের ইনফেকশন একটি কমন অসুখ। এ অসুখের জন্য যখন কালচার টেস্ট করা হয়, সেখানে দেখা যায়— অধিকাংশ অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করার মতো অস্থায় নেই। হাতেগোনা দুয়েকটি ওষুধ ছাড়া প্রায় ওষুধের প্রতিই শরীর প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের পরিত্রাণ পেতে হবে। অন্যাথায় মৃত্যু পথযাত্রী রোগীর জন্যও একসময় কোনো ওষুধ থাকবে না।

আক্ষেপ করে অধ্যাপক ডা. আবদুর রহিম বলেন, উন্নত বিশ্বে প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনোভাবেই ওষুধ কেনা যায় না। অ্যান্টিবায়োটিকের কথা তো চিন্তাই করা যায় না। সেখানে আমাদের দেশে আলু-পটলের মতো দোকান থেকে কেউ চাইলেই অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খেয়ে নিচ্ছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা যেখানে অ্যান্টিবায়োটিক দিতে সাহস পাই না, সেখানে হাতুড়ে চিকিৎসকরা প্রয়োজনের চাইতে অনেক বেশি কার্যকারিতা ও মাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক লিখে দিচ্ছেন। এসব বিষয়গুলো নিয়ে নীতিনির্ধারকদের অনেক কাজ করতে হবে।

অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের মহাবিপর্যয়ের মাত্রায় আমরা এখনও পৌঁছাইনি উল্লেখ করেও প্রিভেনটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, তবে এখনই যদি চিকিৎসক-রোগী ও নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের সবাই সতর্ক না হই, তাহলে আমাদের সে পর্যায়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না।

এদিকে, অ্যান্টিবায়োটিকের মহাবিপর্যয়ের আশঙ্কায় বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছে ওষুধের দোকানগুলোকে। তারা বলেছে, কেবলমাত্র রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসপিক্রপশন অনুযায়ীই অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি ও সেবন করতে হবে।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের জাতীয় কৌশলপত্র ও কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের নির্দেশিকা তৈরির কাজ চলছে, সেই সঙ্গে চিকিৎসকদেরও এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে আমাদের সচেতনতা নেই। শিক্ষিত-অশিক্ষিত সবার মধ্যে সামান্য অসুখেই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। তাই দেশের ফার্মেসিগুলোতে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে, যেন কেউ চাইলেই তারা অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না করে।

সারাবাংলা/জেএ/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন