বিজ্ঞাপন

আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য প্রসারে প্রধানমন্ত্রীর ৭ দফা

April 18, 2018 | 9:48 pm

।। সারাবাংলা ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য প্রশাসনকে আরো উন্মুক্ত এবং স্বচ্ছ করে তুলতে কমনওয়েলথ দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য প্রসারে মোট ৭ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৮ এপ্রিল) ‘কমনওয়েলথ’স রোল ইন প্রমোটিং ট্রেড, ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইনোভেশন’ শীর্ষক এক বৈঠকে তিনি এই প্রস্তাবগুলো উত্থাপন করেন।

কমনওয়েলথ ভুক্ত দেশগুলোর জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের নিচে, তাদের বৃহত্তম সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করে এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনা শক্তির পরিচালনায় কমনওয়েলথকে অবশ্যই এই বিপুল মেধাবীদের কাজে লাগাতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এ জন্য আমাদের অবশ্যই প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত ৭ দফা গুলোর মধ্যে রয়েছে- সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শিল্প সম্ভাবনা ও উৎপাদনশীলতার খাত ভিত্তিক সমীক্ষা, ছড়িয়ে থাকা বিনিয়োগ সম্ভাবনাসহ অভিন্ন বিনিয়োগ নীতি, নির্দেশনা ও কৌশল গ্রহণ, বাণিজ্য সহায়ক সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন এবং পিটিএ ও এফটিএ’র অশুল্ক বাধা হ্রাস, সেবা বাণিজ্যের জন্য উদারশাসন এবং স্বতন্ত্র পেশার সেবা সুবিধার জন্য খোলাবাজার চালু, প্রকৃত ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ যাতায়াত এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতে নির্দিষ্ট লোকদের জন্য ভিসা সহজ করা, অবকাঠামো এবং যোগাযোগ প্রকল্প গ্রহণ এবং এসএমই, ব্লু ইকোনমি খাতসহ উৎকৃষ্ট কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠানের সহায়তা এবং উন্নয়ন, আরএন্ডডি, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তহবিল গঠন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমরা অবশ্যই বাণিজ্য প্রশাসন উন্মুক্ত, আইন ভিত্তিক, স্বচ্ছ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করবো। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশসমূহের অভিন্ন সুযোগ-সুবিধা জোরদার করতে হবে। বিশ্বের জিডিপিতে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৩টি দেশের অবদান ১৬ শতাংশ, অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৮টি দেশের এই অবদান ১৯ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে কমনওয়েলথ দেশগুলোর সম্মিলিত জিডিপি’র হার ৪ দশমিক ১ শতাংশ, এই তুলনায় ইইউ’র জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর জনসংখ্যা ২শ’ কোটির বেশি, যা ইইউ’র ৪ গুণ। এ থেকে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ব্যবসা ও বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনার বিষয়টি সহজেই বোঝা যায়।

গত বছর প্রথমবারের মতো কমনওয়েলথ বাণিজ্য মন্ত্রীদের বৈঠকের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এই আয়োজন দেখে আমি খুশি হয়েছি। এই বৈঠকে মন্ত্রীরা অভিন্ন সংস্কৃতিকে ‘কমনওয়েলথ ফ্যাক্টর’ নিয়ে আলোচনা করেন। যা কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নেই। এমন দেশের তুলনায় কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ব্যবসা-বাণিজ্যকে ২০ শতাংশ সাশ্রয়ী করেছে।

সারাবাংলা/এমআইএস/জেডএফ

বিজ্ঞাপন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন