বিজ্ঞাপন

আবিদ সুলতানের ছেলে তামজিদ মাহি শোকে পাথর!

March 19, 2018 | 10:23 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় নিহত ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের ছেলে তামজিদ মাহি শোকে পাথর হয়ে গেছে। বাবার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই মা আফসানা তপির কোমায় চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না কিশোর তামজিদ মাহি।

নিহত ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের পারিবারিক একটি সূত্র সারাবাংলাকে বলেন, তামজিদ মাহি কারও সঙ্গে কথা বলছে না। বাবার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই তার মা দুইবার স্ট্রোক করে এখন লাইফ সাপোর্টে বেঁচে আছেন। বাবার জীবন নিভে যাওয়ার পর মায়ের সঙ্গীণ অবস্থা দেখে কিশোর ছেলে তামজিদ মাহি নিতেই পারছে না ঘটনাটি।

সদ্য বাবা হারানো এবং মা কোমায় থাকায় কিশোরটি এখন তাদের চাচাদের তত্ত্বাধানে মিরপুর আছেন।

বিজ্ঞাপন

বনানীর কবরস্তানে সোমবার সন্ধ্যায় যখন ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানকে কবর দেয়া হয় তখন তামজিদ মাহি তার একজন আত্মীয়ের হাত শক্ত করে ধরে ছিল। বনানীর কবরস্তানে ধর্মীয় আচারের পর কবর দেয়া শেষ হলে তামজিদ মাহি তার চাচার সঙ্গে মিরপুর চলে যান। এই সময়ের মধ্যে সে একবারও কথা বলেননি। বাবাকে হারানো আর মা-কে ফিরে পাবে কি-না, এই অনিশ্চয়তার দোলাচালে দুলছে তার জীবন।

 

মা-বাবার সঙ্গে তামজিদ মাহি

নিহত ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রোববার ভোরবেলায় নিহত ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানের স্ত্রী আফসানা তপির মাথার যন্ত্রণা শুরু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার জন্য উত্তরার বাসা থেকে আফসানা তপিকে ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেলে নেয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ মেডিকেল থেকে বলা হয়, আফসানা তপি স্ট্রোক করেছেন। তারপর বাংলাদেশ মেডিকেল থেকে আফসানা তপিকে আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে নেয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর অনেকটা সুস্থ হয়ে ওঠেন আফসানা তপি।

এরপর রবিবার দিবাগত রাত ১টার সময় আফসানা তপির আবারো স্ট্রোক হয়। তাকে তাৎক্ষণিকভাবে আবারও অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।

সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, আফসানা তপির মাথার চুল কামানো হয়েছে। তার দুই চোখে তুলোর ব্যান্ডেজ লাগানো হয়েছে। এর মধ্যেই ভেন্টিলেশন চলছে।

অন্যদিকে, নিহত ক্যাপ্টেন আবিদের একমাত্র ছেলে তামজিদ মাহি (১৪) উত্তরার মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়ামের ছাত্র। এবার তার ও লেভেল পরীক্ষা দেয়ার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ক্যাপ্টেন আবিদ সুলতানরা মোট পাঁচ ভাই, সকলেই প্রতিষ্ঠিত। এদের মধ্যে দুইজন দেশের বাইরে থাকেন। বড় ভাই অধ্যাপক ড. খুরশিদ মাহমুদ, নিউরো সায়েন্সের ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।

নিহত ক্যাপ্টেন আবিদের একমাত্র ছেলে তামজিদ মাহি এখন তার চাচা অধ্যাপক ড. খুরশিদ মাহমুদের তত্ত্বাবধানে মিরপুর আছেন।

 

সারাবাংলা/জেআইএল/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন