বিজ্ঞাপন

আমদানি নীতিতে অর্ন্তভুক্ত হচ্ছে ৪টি সৌর যন্ত্রাংশ

October 21, 2018 | 8:45 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: প্রথমবারের মতো মান নির্ধারণ করে দেশের আমদানিনীতিতে ৪ সৌর যন্ত্রাংশ অর্ন্তভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এগুলো হলো, সৌর প্যানেল, ইনভার্টার, চার্জ কন্ট্রোলার ও ব্যাটারি। সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেসব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয় সেগুলোর মানমাত্রা নির্ধারণ করা থাকলেও আমদানি নীতিতে অর্ন্তভুক্ত ছিল না। ফলে আমদানি করা যন্ত্রাংশের মান নিয়ন্ত্রণ করা যেত না।

সূত্র জানায়, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে বিএসটিআই কাউন্সিল থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক পত্র পেলে আগামী নতুন আমদানি নীতি আদেশ ২০১৮-২১ এর ২৮(ক)তে এসব পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বাংলাদেশ মান (বিডিএস) সম্পর্কিত দিক-নির্দেশনা অর্ন্তভুক্ত করা হবে। তিন বছরের জন্য এই নীতি ঘোষণা করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এরই মধ্যে চারটি যন্ত্রাংশের বাংলাদেশ মান (বিডিএস) নির্ধারণ করেছে। অন্যদিকে দেশে মানহীন সৌর যন্ত্রাংশ আমদানি প্রতিরোধে বিএসটিআই’র বিডিএস বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। যা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তারা জানান, আমদানি নীতিতে বিএসটিআই’র নির্ধারিত মানমাত্রা অর্ন্তভুক্ত করা হলে আগামীতে এসব যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে মান নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি মানতে হবে। আমদানি নীতি আদেশ ২০১৮-২১ প্রণয়নের জন্য বিদ্যমান আমদানি আদেশ সংশোধন ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গত সপ্তাহে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, প্রক্রিয়াধীন বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য নয়। তবে তারা জানান, বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে একাধিকবার সৌর যন্ত্রাংশের মান নিয়ন্ত্রণে মানদণ্ড নির্ধারণ করতে আমাদের একাধিকবার অনুরোধ করা হয়েছে। পাশাপাশি সৌর বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলো মানহীন এমন অভিযোগ ব্যবহারকারী ও ব্যবসায়ীরা করেছেন।

দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো হচ্ছে সৌরশক্তির মাধ্যমে। এরই মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন বেশ আলোচিত ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাশাপাশি শহরাঞ্চলের বাসা-বাড়ি, শিল্প-কারখানাগুলোতেও এখন স্থাপন করা হচ্ছে সোলার প্যানেল। শুধু তাই নয়, জাতীয় গ্রিডেও সৌর বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এসব কারণে দেশে সৌর যন্ত্রাংশ আমদানি ও বিক্রি বেড়েছে কয়েকগুন। তবে আমদানি বাড়লেও এসব সৌর যন্ত্রাংশের মানমাত্রা পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল না। ফলে আমদানি করা যন্ত্রাংশ অনেকাংশেই ছিল নিম্নমানের।

বিজ্ঞাপন

এই প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এসব সৌর যন্ত্রাংশের মানমাত্রা প্রণয়ন করলেও সেটি বাধ্যতামূলক মান পরীক্ষণে অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি বলে বিএসটিআইয়ের এক কর্মকর্তা জানান। এই কর্মকর্তা জানান, এই কারণে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিএসটিআই কাউন্সিলকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে অনুরোধ করেছি। বিএসটিআই কর্তৃক বাধ্যতামূলক বিডিএস পরীক্ষণের জন্য পণ্য নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য শিল্পমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কাউন্সিল রয়েছে। এই কাউন্সিল পণ্য উৎপাদন ও আমদানির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক বিডিএস পরীক্ষা করে থাকে। বিদ্যমান আমদানি নীতি আদেশ ২০১৫-১৮ এর ২৬ এর ২৮(ক) তালিকায় এখন বিএসটিআই নির্ধারিত বাংলাদেশ মান (বিডিএস) অনুযায়ী ৫৫টি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে পরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তদারকি করা হচ্ছে।

তবে বিভিন্ন খাতে চাহিদা বিবেচনায় রেখে নতুন আমদানি নীতি আদেশ ২০১৮-২১ এর ২৮(ক)তে ৭৯টি পণ্যের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইতোমধ্যে বিএসটিআই থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যেখানে সৌর প্যানেল, ইনভার্টার, চার্জ কন্ট্রোলার ও ব্যাটারি এবং এসব সৌর যন্ত্রাংশের নাম ও মানমাত্রাও রয়েছে।

সারাবাংলা/এইচএ/এটি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন