বিজ্ঞাপন

আমরা প্রতিবেশী কিন্তু চিন্তায় একই পরিবার: মোদি

September 18, 2018 | 8:00 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: শেখ হাসিনার কৌশলী নেতৃত্বের প্রশংসা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, আগামীতেও ভারত এবং বাংলাদেশের জনগণের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আপনি এভাবে কাজ করে যাবেন। গত কয়েক বছরে আমাদের সঠিক উদ্যোগ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছে কোনো প্রতিবেশী দেশ শপথ করলে কী না করা সম্ভব।

তিনি বলেন, ‘কয়েক দিনের ব্যবধানে এটা আমাদের দ্বিতীয় ভিডিও কনফারেন্স। আমরা প্রতিবেশী দেশ। কিন্তু চিন্তার দিক থেকে আমরা একই পরিবার। একজন অন্যজনের সুখে-দুখে পাশে থাকা, একজন অন্যজনে উন্নতিতে সহায়তা করা- এটা আমাদের পরিবারিক সম্পর্কের ধারা।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি এবং বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপ লাইনের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী আরো দুইটি পৃথক-পৃথক প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন। প্রকল্পগুলো হলো, ভারতীয় এলওসি’র অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমাদের সঠিক উদ্যোগ বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি, যদি কোনো প্রতিবেশী দেশ শপথ করে তাহলে কী না করা সম্ভব। আমরা অভূতপূর্ব প্রগতি করেছি। ’

বিজ্ঞাপন

‘আর এই প্রগতির কৃতিত্ব আমি আপনার সুকৌশলী নেতৃত্বকে দিতে চাই। আজ থেকে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপ-লাইন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আপনার মহৎ উদ্যোগের যে লক্ষ্য তাতে নতুন অধ্যায় শুরু হলো। যে কোনো দেশের বিকাশের জন্য জ্বালানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি বুঝি, এই পাইপ-লাইন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিকাশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।’

‘বিশেষ করে বাংলাদেশের উত্তর অংশে এই পাইপ-লাইন স্বল্প দামে জ্বালানি পৌঁছে দেবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সম্পর্কেও এই পাইপলাইন শক্তিশালী করবে’ বলেন নরেন্দ্র মোদি।

 ‘যদিও ভারতের গ্রান্ট ফাইন্যান্সিংয়ের অর্থায়ন রয়েছে এই পাইপ-লাইন নির্মাণে, তবে আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো- নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটা বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের কাছে হস্তান্তর করা হোক।’

মোদি আরও বলেন, ‘আমরা যে রেলওয়ে কাজ করছি তাতে শুরু ঢাকা মানুষকে আরামদায়ক যাত্রাই দেবে না, রাজস্বও আসবে। আমি বিশ্বাস করি, এই রেলওয়ে প্রকল্প থেকে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয় এবং শহরের যানজট নিরসনের সহায়তা পাবে। মাত্র ১০ দিনের মধ্যে আমরা দুইবার ভিডিও কনফারেন্সে আমরা কথা বলছি, আপনার মজবুত এবং কৌশলী নেতৃত্ব ছাড়া এটা সম্ভব হতো না। আমি বিশ্বাস করি, আগামীতেও ভারত এবং বাংলাদেশের জনগণের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আপনি এভাবে কাজ করে যাবেন।’

বিজ্ঞাপন

‘আপনি আমার জন্মদিনে শুভ কামনা জানিয়েছিলেন, মঙ্গল কামনা করেছিলেন। আমি, আপনাকে এবং বাংলাদেশর জনগণকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর আমার কথা শেষ করার আগে, ২৮ সেপ্টেম্বর আপনার জন্মদিনে ভারতের জনগণের পক্ষ থেকে শুভ কামনা জানাতে চাই। শুভ জন্মদিন।’

‘আজ থেকে আমরা সবাই আপনার দীর্ঘায়ু, সুস্থতা এবং সফলতার জন্য প্রার্থনা করব। আশা করব, ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রীর জন্য আপনার আন্তরিকতা অব্যাহত থাকবে’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রীর পাশে অথর্মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এবং নয়াদিল্লী প্রান্তে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/একে

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন