বিজ্ঞাপন

আমরা হৃদয়ের ডাক শুনতে চাই

November 8, 2018 | 5:11 pm

।। শান্তা তাওহিদা ।।

বিজ্ঞাপন

একটি ছবি আমাদের আশাবাদী করে তুলেছিল, কিন্তু সেই একই ছবি আজ কেবল হৃদয় খুঁড়ে বেদনাই জাগাল …। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে এরই মধ্যে হৃদয় সরকার নামটির সাথে সকলেই কম বেশি পরিচিত হয়েছেন। ৭ নভেম্বর অনলাইন খবরের কাগজ ‘সারাবাংলা’-র পাতায় ‘হৃদয়কে ঢাবিতে ভর্তি না করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ’ প্রতিবেদনটি দেখি। এই শিরোনামের প্রতিবেদন থেকে জানতে পারি, মায়ের কোলে চড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা হৃদয় সরকার ‘সেরিব্রাল পালসি’(সিপি)তে আক্রান্ত। এমনকি সরকারিভাবেও প্রতিবন্ধী হিসেবে স্বীকৃতি রয়েছে তার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী বাক ও শ্রবণ, দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতার বাইরে অন্য কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা আছে এমন শিক্ষার্থীর জন্য কোটা না থাকায় সে ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ পাননি। এমনকি অন্য প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের তুলনায় মেধাক্রমে এগিয়ে থেকেও ভর্তির সুযোগ পাননি হৃদয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন হৃদয় সরকার। তাঁর সিরিয়াল নম্বর ৩ হাজার ৭৪০। কিন্তু ‘খ’ ইউনিটে মোট আসন ২ হাজার ৩৮৩। গত ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে হৃদয় সরকার বাংলা অংশে ৯ দশমিক ৩০, ইংরেজি অংশে ১৪ দশমিক ৪০ ও সাধারণ জ্ঞান অংশে ২৮ দশমিক ৯০ নম্বরসহ মোট ১২০ দশমিক ৯০ নম্বর পেয়ে ৩ হাজার ৭৪০তম হন। প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তির আবেদন করেছিলেন হৃদয়।

সোমবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাবি কলা অনুষদে ‘খ’ ইউনিটে উত্তীর্ণ ওয়ার্ড, খেলোয়াড় ও প্রতিবন্ধী কোটাধারীদের মনোনয়ন সংগ্রহের জন্য ডাকা হয়। প্রতিবন্ধী হিসেবে ডাকা হয় ৯ জনকে। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫৮৪ মেধাক্রমেও রয়েছেন একজন। কিন্তু ৩ হাজার ৭৪০ মেধাক্রমে থেকেও হৃদয় সরকার মনোনয়ন সংগ্রহের ডাক পাননি। অথচ হৃদয় হাঁটতে পারেন না ছোটবেলা থেকেই। তার হাতের সব আঙুলও কাজ করে না। সমাজসেবা অধিদফতর থেকেও তাকে ‘সেরিব্রাল পালসি’ প্রতিবন্ধী উল্লেখ করে একটি আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

‘আমার কোটার কাগজপত্র আছে। কিন্তু ঢাবিতে নাকি আমার কোটা নাই! এটা কোন নিয়মের মধ্যে পড়ল, আমি বুঝলাম না।’… সারাবাংলাকে বলা এই কথাগুলো হৃদয় সরকারের। সেরেব্রাল পালসির সাথে নিত্য সংগ্রাম করে, স্কুল কলেজের দরজা পেরিয়ে এসে হৃদয় সরকার আজ বুঝতে পারছেন না আমাদের তৈরি করে রাখা তথাকথিত নিয়ম। আমি বলব এ ব্যর্থতার দায় আমাদের। আমাদের শত বছরের পুরনো নিয়মের হালনাগাদ না করার ব্যর্থতার দায় আমরা হৃদয়ের উপর কোনোভাবেই চাপাতে পারি না।

কিছু বাস্তব চিত্র উপস্থাপন এখানে জরুরি। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর মত বাংলাদেশে এখনও প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বিশদভাবে জ্ঞান চর্চার ঘাটটি রয়েছে। সেটি একাডেমিক পরিমণ্ডল থেকে শুরু করে চিকিৎসা, গবেষণাসহ সকল ক্ষেত্রে। প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বিগত এক দশকে যতখানি সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে তাও কেবল বড় শহরকেন্দ্রিক। এখনও গ্রামেগঞ্জে মানসিক, ভাষিক, বুদ্ধিগত প্রতিবন্ধকতা থাকলে শিশুদের পাগল বলে ডাকা হয়। পাশাপাশি শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলে খুবই আপত্তিকর শব্দে ‘লুলা’, ‘ল্যাংড়া’ বলে ডাকা হয়। আমাকে ক্ষমা করবেন এই দুটি শব্দ লেখার জন্য। কিন্তু এটাই আমাদের করুণ বাস্তবতা। আর এগুলো যে কেবল আমার একার বাস্তব অভিজ্ঞতা তা নয়।

বাংলাদেশে সরকারিভাবে অটিজম নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্নায়ু বিকাশগত বৈকল্য বা নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার এক ধরনের ধারণা জন্মেছে। তবে সেটিও শহরকেন্দ্রিক গড়ে উঠা বিশেষ শিশুদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, ভাষাবিজ্ঞান ও চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগে বেশ সীমিত পরিসরে প্রতিবন্ধিতা নিয়ে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম প্রচলিত ছিল। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান ও ২০১৫ সালে কমিউনিকেশন ডিসঅর্ডারস বা যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারগুলো নিয়ে শিক্ষা ও গবেষণার চর্চা শুরু হয়। এই প্রেক্ষাপটগুলো তুলে ধরার কারণ হল, কোন দেশে একাডেমিক ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ জ্ঞান শাখার চর্চা শুরু না হলে সেই সমাজের জন্য নতুন একটি ধারণা বোঝা সম্ভব হয় না।

এই প্রেক্ষাপট বলার কারণ হল, একজন বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধকতা ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতাকে যেভাবে সহজে শনাক্ত করা সম্ভব হয় ততটাই কঠিন হয়ে যায় নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারগুলো শনাক্ত করা। আমাদের বিভাগে আমরা প্রতি মাসে একটি ক্লিনিক দিবস পালন করি। যেখানে যে সকল শিশুদের ভাষিক মানসিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে আমরা বিনা মূল্যে তাঁদের শনাক্তকরণসহ থেরাপি প্রদান করি। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা দেখেছি যে সকল অভিবাবকেরা তাদের শিশুদের নিয়ে আসেন, সেই অভিবাবকদের কাছেও এই ধারণাগুলো স্পষ্ট নয়। যেই প্রতিবন্ধকতাগুলোর সম্পর্কে সমাজের সকল ক্ষেত্রের মানুষ জানতেন না সেগুলো নিয়ে বর্তমান সরকারের সময়কালে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

যার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩’। যেই আইনটির বিষয়ে সংবাদটিতে উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আমাদের হৃদয়কে তার শিক্ষার সুযোগ তৈরি করতে যেই আইন দরকার সেটি হল নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন ট্রাস্ট আইন ২০১৩ (২০১৩ সালের ৫২নং আইন )। নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষার জন্য এনডিডি ট্রাস্ট নামে একটি ট্রাস্ট স্থাপনের জন্য এই আইনটি প্রণীত হয়। এই আইনের আওতায় সেরিব্রাল পালসি, অটিজম, ডাউন সিনড্রোম, বুদ্ধি প্রতিবন্ধীতা এই ৪টি ধরনকে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডার এর আওতায় আনাপূর্বক তাদের চিকিৎসা, বাসস্থান, শিক্ষা, নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় অধিকার সংরক্ষনের কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে সমাজের সর্বস্তরে এখনো এটি সম্পর্কে সচেতনতা পৌঁছায়নি।

এমনকি যার চর্চা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত জায়গায়ও এখনো শুরু হয়নি। তবে একে ঠিক সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠানের গাফলতি বলা ঠিক হবে না। আমাদের সামাজিক পরিবেশে নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারগুলি শনাক্ত হতেই বেশ দেরি হয়ে যায়। তার উপর দৃষ্টি প্রতিবন্ধিকতাকে ব্রেইল বই, অডিও বই ও অডিও পাঠদানের মত যত সহজে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব তা সেরিব্রাল পালসি, অটিজমের মত নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারগুলোর মত সহজ নয়। একই বিষয় বলা যায়, বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রেও যেভাবে সংকেত ভাষার মত বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিদ্যালয়ে পাঠদান করা সম্ভব হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এইরূপ সেরেব্রাল পালসির মত নিউরো ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারগুলিকে সহজভাবে ক্ষতি কমিয়ে আনার সম্ভাবনা খুব কম ক্ষেত্রেই থাকে। কারণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ ধরনের শিশুদের কেবল একটি বিশেষ সমস্যা নয়, বরং বেশ কিছু সমস্যার সম্মিলিতভাবে থাকে। যেমন, এক সেরেবাল পালসির ক্ষেত্রেই নানান রকম উপসর্গ বা অবস্থা থাকতে পারে। শরীরের এক পাশ অর্থাৎ ১ হাত ও ১ পা, শরীরের নীচের অংশ বা কোমর থেকে দুই পা, আবার পুরো শরীরের ক্ষেত্রেই সমস্যা হতে পারে। শুধু তাই নয়, মাংসপেশি বেশি শক্ত, বেশি তুলতুলে হওয়াসহ খেতে সমস্যা, কথা বলার সমস্যা, মুখ থেকে লালা পড়ার সমস্যা থাকতে পারে। এমনকি সেরেব্রাল পালসি শিশুদের মধ্যে বুদ্ধি প্রতিবন্ধকতাও থাকতে পারে।

এই ধরণগুলো উল্লেখ করার কারণ হল আমাদের বুঝতে আর কোনো সমস্যা থাকার কথা নেই যে, একজন হৃদয় সরকারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে আসার পথখানি কতটাই কঠিন ছিল। হৃদয় সরকারের মত খুব কম শিক্ষার্থীরাই এই পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। ২০১৪ সালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-এ স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিপ্লোমা করার সময় বিশেষ শিক্ষা স্কুল‘প্রয়াস’- এ একাডেমিক প্র্যাকটিকেল এর অংশ হিসেবে সেরিব্রাল পালসি শিশুদের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি এই ধরেনের প্রতিবন্ধিকতা নিয়ে প্রাক-সমাপনি পরীক্ষা পর্যন্ত যেতে পেরেছে এমন সংখ্যা খুবই নগণ্য।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে অনেক খোঁজ করি। স্কুল ফর গিফটেড চিলড্রেন ও তরী ফাউন্ডেশনের পরিচালক মারুফা হোসেন জানান, তার জানামতে, জীবন উইলিয়াম গমেজ নামে একজন সিপি শিক্ষার্থী পড়াশুনা শেষ করে বর্তমানে একটি এনজিও’তে চাকুরি করছেন। তিনি ছাড়াও ফয়সাল নামের একজন সিপি শিক্ষার্থীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বয়স বেশি হওয়ার কারণে পারেননি। বর্তমানে তিনি একটি কলেজে বিএ পড়ছেন । এছাড়া আরো কেউ কেউ হয়ত থাকতে পারেন তবে সে সংখ্যাটি হয়ত হাতে গোণা দু-চারজন এর বেশি হবে না।

হৃদয় সরকারের জন্য আমরা কী করতে পারি সে বিষয়ে পরামর্শ চাই এনডিডি ট্রাস্টের সদস্য ও তরী ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক আশফাক-উল-কবীর এর কাছে। তিনি হৃদয় সরকারের ছবি দেখেছেন ও সংবাদ পড়েছেন। তিনি হৃদয় সরকারের মায়ের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন। তিনি এনডিডি ট্রাস্টের পক্ষ থেকে হৃদয় সরকারের জন্য একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করার আগ্রহ দেখিয়েছেন।

শেষ করব সংবাদের সংবাদ প্রতিবেদনের শেষ অংশ দিয়ে। প্রতিবন্ধী কোটা বিষয়ে ঢাবি কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন জানতে চাইলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘…বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্তের মধ্যে বাক, শ্রবণ ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর জন্য কোটা বরাদ্দ আছে। হৃদয় সেই শর্তের মধ্যে পড়ে না। যদি এ ধরনের প্রতিবন্ধীর জন্য কোটা চালু হয়, তখন তারা নিশ্চয় ভর্তি হতে পারবে।’

এ প্রসঙ্গে ঢাবি কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন যা বলেছেন তার সাথে আমিও একমত। কিন্তু এই একটি কথা দিয়ে আমরা হৃদয় সরকারদের জিজ্ঞেস করা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারব না। তাই আমাদের নিজেদের বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে।

কেন ঢাবিতে এখনও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল বা স্নায়ু বিকাশমান প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা অন্তর্ভুক্তি হয়নি সেই বিষয়ের সকল সম্ভাব্য কারণ আমি আমার একাডেমিক জায়গা থেকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছি । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের একজন শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি, কেবল সেরিব্রাল পালসি নয়, বরং বাংলাদেশ সরকার যে ৪টি স্নায়ু বিকাশমান প্রতিবন্ধকতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে সেগুলো অন্তর্ভুক্তির যথেষ্ট দাবি রাখে। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আন্তরিক আবেদন থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধিতা বিষয়ক শর্তটি অতি দ্রুততার সহিত হালনাগাদ করা হোক। এবং এই শিক্ষাবর্ষ থেকেই এর প্রচলন শুরু করা হোক।

পাশাপাশি শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদ, মনোবিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান ও যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগে স্নায়ু বিকাশমান প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের আলাদা কোটা প্রাধান্য দেয়ার জন্য। কারণ এই বিভাগগুলোর কারিকুলামের সাথে প্রতিবন্ধকতার বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও এই বিভাগগুলো থেকে পাশ করে বের হলে তারা বিশেষ শিক্ষা স্কুল, বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে এমন এনজিও তে শিক্ষক, কাউন্সিলর, সমাজকর্মী, স্পিচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট হিসেবে কাজ করার সুযোগ থাকবে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সারাবাংলা/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন