September 18, 2018 | 1:53 pm
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক ।।
আসলে, সফলতার সময়টা কাটানো অনেক সহজ। আপনি যখন সফল, আপনি এটাকে অনুভব করতে পারবেন না কারণ মানুষ আপনাকে তোষামোদ করতে থাকবে। কিন্তু ব্যর্থতা আপনাকে অনেক কিছু শেখাবে। কেউ হয়তো ভাবতে পারে ব্যর্থতার মতো সফলতাও বুঝি সামলাতে হয় কিন্তু ব্যর্থতা আসলে সফলতার চেয়েও শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। এটা আপনাকে খুব জোরে থাপ্পর মারবে, এমনকি আপনি সেটা বুঝতেও পারবেন না। আর ব্যর্থতার অনুভূতিটাও আপনি যথা সময়ে অনুভব করতে পারবেন না। এটা এক বা দুই বছর পর আসবে, কারণ আপনি তখন জানবেন যে আপনার জীবনেও দুঃসময় এসেছিল।
না, আমার কখনো অনুশোচনা হয় না। আমার মনে হয় সুদিনের চেয়েও দুর্দিন আমাকে বেশি কিছু শিখিয়েছে। যদিও এটা এখনও সামলানো কঠিন। এজন্য আপনার একটা সাপোর্ট সিস্টেম লাগবে। পরিবার, প্রেমিকা কিংবা বন্ধু-বান্ধব যারা আপনাকে বুঝতে পারবে এবং শান্তি দেবে। সেই সঙ্গে তারা আপনাকে এমনভাবে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে যে আপনার জীবনের বাঁক বদলের সময় চলছে কিন্তু আপনি ফুরিয়ে যাননি।
আমার মনে হয় না আমি এতোটা খারাপ সময় পার করেছি। এখনো অনেক মানুষ আছেন যারা আমাকে ভালবাসে এবং ভালো অভিনেতা মনে করে। তারা আমাকে অনেক সমর্থনও দেয়। যদি সৎভাবে বলি, আমি আসলে চলচ্চিত্র পরিবারে জন্মেছি এবং বেড়ে উঠেছি। ফলে এসব ব্যাপার নিয়ে আমি আগে থেকেই সচেতন। যে কারণে সফলতাকে যেমন আমি মাথায় রাখি না তেমনি ব্যর্থতাকেও হৃদয় দখল করার কোন সুযোগ দেই না।
দেখেন, যদি কেউ বদলে যায় তাহলে এটা আমি মেনে নেই। এর কারণ সম্ভবত আমি নিজেকে কখনোই গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না। আমার ধারণা, আমি একজন গড়পড়তা অভিনেতা এবং মানুষ হিসেবে গড়ের চেয়েও কম যে অনেক বড় বড় সুযোগ পেয়েছে। তবে হ্যাঁ, নিজের প্রতি আমার বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস আছে যে আমি যেকোন কিছু করতে পারবো। হয়তো এ কারণেই আমি সফল। অথবা এমনটাও হতে পারে আমি দুনিয়া উদ্ধার করতে চাচ্ছি না, আমি শুধু অভিনয় করছি যেটাকে অতটা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয় না।
এটা অনেক ভালো ব্যাপার। যদি মানুষ কারো মধ্যে সম্ভাবনা দেখে এটা সবসময় ভালো এবং উৎসাহদায়ক। এরজন্য আপনাকেও কিছু একটা করতে হবে। নিত্য পরিশ্রম ও নিত্য চেষ্টা আপনাকে আরো বেশি দর্শকের কাছে পৌঁছুতে সহায়তা করবে। এই বিশ্বাস সিনেমারই একটা অংশ যেটা অনেক বড় জনগোষ্ঠীকে সুখী করবে। তবে এই কাজটা আমি নিজের মতো করে করতে চাই।
সারাবাংলা/টিএস/পিএম