বিজ্ঞাপন

আলো স্বল্পতায় ভোগান্তিতে ‘ফুটবল’

January 18, 2018 | 9:32 pm

জাহিদ-ই-হাসান
এর আগেও বিপিএলের (ফুটবল) একটি ম্যাচ ৫৫ মিনিট বন্ধ ছিল ফ্লাডলাইটের আলো স্বল্পতায়। পর্যাপ্ত আলোর অভাবে ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে দেশের খেলোয়াড়দের। এতে ফুটবলারদের স্বাভাবিক খেলাটা ব্যহত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ঘরোয়াসহ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াতে চলছে।

বিজ্ঞাপন

চারদিন বাদে এই মাঠেই আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট এএফসি কাপের বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচটি আয়োজিত হতে চলছে। মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টসকে আতিথ্য দিবে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। তাছাড়া প্রায় বছরব্যাপী প্রিমিয়ার লিগ শেষে মাঠে গড়িয়েছে স্বাধীনতা কাপও। এতো ব্যস্ত সূচির মধ্যে ফ্লাডলাইটের এই অল্প আলোয় খেলা চালিয়ে যাচ্ছে দেশের ফুটবল ফেডারেশন।

২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপের অনুষ্ঠান উপলক্ষে সবশেষ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ হয়েছিল। তারপরে সময় গড়ানোর পাশাপাশি ফ্লাডলাইটসহ স্টেডিয়ামের বিভিন্ন অংশ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। সংস্কারের ঘোষণাও দিয়েছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাবেক ক্রীড়া সচিব অশোক কুমার। ৯১ কোটি টাকার বিশাল বাজেটও হয়েছে সংস্কারের জন্য। অশোকের বিদায়ের পর সংস্কার কাজ শুরু করতে দীর্ঘসূত্রিতাই বেড়েই চলছে।

কবে নাগাদ সংস্কার কাজ শুরু করতে পারবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জানতে চাইলে নতুন ক্রীড়া সচিব মাসুদ করিম ব্যস্ত আছেন বলে জানান।

বিজ্ঞাপন

ফ্লাডলাইটে বাতি সংস্কার করে এলইডি বাতি লাগানোর কথা ছিল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের চারপাশে চারটি ফ্লাডলাইটের প্রত্যেকটিতে ১০০টিরও ওপর বাতি আছে। তবে, তার মধ্যে বেশিরভাগই নষ্ট। সক্রিয় আছে ৩০ কি ৩৬টি করে। আলো স্বল্পতা তো বাড়বেই।

এমন আলো অপর্যাপ্ততায় ফুটবল খেলোয়াড়দের স্বাভাবিক খেলাটা নষ্ট হচ্ছে। মাঠে সমন্বয়ের ভারসাম্য বজায় থাকছে না। আরামবাগের কোচ মারুফুল হক জানান, ‘ফ্লাডলাইটে আলো স্বল্পতায় মাঠের এক প্রান্তে লাইট বেশি আরেক প্রান্তে লাইট কম।’

তাতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে ফুটবলারদের এমনটাই মনে করছেন ঢাকা আবাহনীর অধিনায়ক মামুন মিয়া, ‘লাইট কম থাকায় খেলোয়াড়দের সাথে কনটাক্টটা ঠিকমতো করা যাচ্ছে না। স্বাভাবিক খেলাটা খেলা হচ্ছে না। শুধু ফ্লাডলাইট নয়, মাঠের অবস্থাও খারাপ। সারাবছর এই মাঠ ব্যস্ত থাকে। বলটা হঠাৎ হঠাৎ লাফিয়ে ওঠে।’

বিজ্ঞাপন

এর আগেও আলো স্বল্পতার কারণে বিজেএমসি আর মোহামেডানের একটি ম্যাচ বন্ধ রাখা হয়েছিল ৫৫ মিনিট। সামনে স্বাধীনতা কাপসহ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেও এমন ভোগান্তি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। দ্রুত এর সংস্কার জরুরি মনে করে সংশ্লিষ্টরা।

শুধু ফ্লাডলাইট নয় স্টেডিয়ামের শেড, চেয়ার এবং অ্যাথলেটিক ট্র্যাকের পাশাপাশি আরও বেশ কিছু জিনিস দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজন। তবে, ড্রেসিং রুমগুলো আধুনিকায়ন, খেলোয়াড়দের জন্য জিম সুবিধা বৃদ্ধি, ডোপটেস্ট রুম নির্মাণ, মিডিয়া সেন্টার আধুনিকায়ন, টিভি চ্যানেলগুলোর জন্য ক্যামেরা স্ট্যান্ড তৈরি, ড্রেসিং রুমগুলোর উন্নয়ন ও স্কোর বোর্ড ঠিকঠাক করা সংস্কারের আওতায় ছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের। এখন দ্রুত সংস্কার হলেই ভোগান্তি কমবে।

সারাবাংলা/জেএইচ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন