বিজ্ঞাপন

আল কায়েদার আদলে গড়া জামাতুল মুসলিমিনের সদস্য গ্রেফতার

January 20, 2019 | 6:28 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার আদলে গড়া বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুসলিমিন (জেএম) এর এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার (মামলা নং-৩২) আসামি ছিলেন তিনি।

রোববার (২০ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ৬/এ রোডের ঈদগাহ মসজিদের সামনে থেকে রিজওয়ান হারুণ নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দারা। বিকেলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (ডিবি দক্ষিণ) রাজীব আল মাসুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার বলেন, ‘হারুনের প্রত্যক্ষ মদদেই ২০০৫ সালের শুরুর দিকে আল কায়েদার মতাদর্শে বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুসলিমিন (জেএম) গঠিত হয়। জামাতুল মুসলিমিন এখন ১৭টি দেশে পরিচালিত হয়ে আসছে। রিজওয়ান হারুনসহ তার সঙ্গীরা ঢাকা শহরে বিভিন্ন বাসা, মসজিদে এবং হারুন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নিজস্ব অফিস (নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন) দাওয়া হালকা কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করা হতো। ওই এলাকায় বয়ান করা হতো, প্রচলিত ইমামের পেছনে জুম্মার নামাজসহ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা যাবে না। যারা জামাতুল মুসলিমিনের বায়াত গ্রহণ করবে না, তারা সবাই কাফির। জামাতুল মুসলিমিনের সকল সদস্য হিযরত করবে। প্রচলিত ঈদের নামাজের পরিবর্তে ইউনিফাইড মুন সাইটিং কমিটির নির্দেশনায় আগেই স্ব পরিবারে নামাজ আদায় করে নেবে।’

বিজ্ঞাপন

এডিসি বলেন, ‘২০০৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে জামাতুল মুসলিমিনের কার্যক্রম আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসে। ওই সময় জামাতুল মুসলিমিনকে কালো তালিকাভূক্ত করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপর জামাতুল মুসলিমিন বাংলাদেশে দ্রুত ছড়িয়ে পরার জন্য বিভিন্ন স্থানে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এর মধ্যে লেকহেড গ্রামার স্কুল ও কিউকেশিন কারাতে স্কুল অন্যতম। শুরু থেকেই স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মস্তিস্কে ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠীর কার্যকলাপ সম্পর্কে জিহাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য লেকহেডকে সুতিকাগার হিসেবে ব্যবহার করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে যেসব ইসলামী উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন রয়েছে সেসকল জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের প্রাথমিক একটি স্তর হচ্ছে জামাতুল মুসলিমিন। এই স্তরে শিক্ষার্থীদের ইসলামের বিভিন্ন অপব্যাখ্যা দিয়ে তাদের মস্তিস্কে ইসলামী উগ্রবাদের ধারণা দেয় ও ইসলামী উগ্রবাদী বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনে যোগদানে এবং জিহাদী কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এসব কার্যক্রম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসলে ২০১৭ সালে সুকৌশলে আরেক আসামি খালেদ হাসান মতিনের কাছে স্বত্ব বিক্রি করে আত্মগোপনে চলে যায় এবং জঙ্গি কার্যক্রম অব্যাহত রাখে হারুন।’

আসামি হারুনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জঙ্গি কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন