বিজ্ঞাপন

আড়াইহাজারের নিহত ৪ জনকেই আসামি করে পুলিশের মামলা

October 22, 2018 | 8:57 pm

।। ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গুলিবিদ্ধ চার ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুইটি মামলা করেছে। এর মধ্যে একটি অস্ত্র আইনে, অন্যটি হত্যা মামলা। তবে দুইটি মামলায় নিহত চার ব্যাক্তিকে অজ্ঞাত উল্লেখ্য করে তাদের আসামি করা হয়েছে।

আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক রফিউদ্দৌলা বাদী হয়ে রোববার (২১ অক্টোবর) রাতে মামলাগুলো করেন। নিহতদের মধ্যে রাতেই লুৎফর মোল্লা (৩০) নামে একজনের পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিচয় শনাক্তের পর নারায়ণগঞ্জ মর্গ থেকে সোমবার (২২ অক্টোবর) আরও তিনজনের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছ হস্তান্তর করা হয়েছে। এরা হলেন পাবনা জেলার সদর আতাইকুলা থানাধীন ধর্মগ্রাম এলাকার লোকমানের ছেলে জহিরুল (৩০), খাইরুল সরদারের ছেলে সবুজ সরদার (১৭) একই এলাকার জামালউদ্দিন প্রামানিকের ছেলে ফারুক প্রামানিক (৩৫)।

বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, আসামিরা হলেন (১) অজ্ঞাত (৩৫) তার পরণে ছিল খয়েরী রঙয়ের গেঞ্জি ও ব্লু রঙয়ের ফুল প্যান্ট। (২) অজ্ঞাত (৩৮), পরণে ছিল বেগুনী রঙয়ের গেঞ্জি ও সাদা গ্রিন রঙয়ের চেক লঙ্গি, অজ্ঞাত (৩৭) পরণে ছিল হাফহাতা গেঞ্জি ও ব্লু রঙয়ের জিন্স ফুল প্যান্ট,অজ্ঞাত (৩৫) পরণে ছিল কমলা ও সাদা রঙয়ের হাফহাতা গেঞ্জি ও নীল রঙয়ের ফুল প্যান্ট। পরে অবশ্য তাদের পরিচয় পাওয়া যায়।

এজাহারে আরও উল্লেখ্য করা হয়েছে, রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচরুখী ফকির বাড়ির সামনে দুইদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গোলাগুলি করছে এমন সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে চার ব্যাক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানানো হয়।

এদিকে ঘটনার পর থেকে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলের বাসিন্দারা প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। সবার মধ্যেই আতংক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।

বিজ্ঞাপন

পাঁচরুখী ফকির বাড়ি পাশে চার ব্যাক্তির ক্ষতবিক্ষত লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল। রোববার সকালে পুলিশ লাশগুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে কে বা কারা কেন তাদের হত্যা করেছে তা কেউ বলতে পারছে না। তবে স্থানটি নির্জন হওয়ায় কেউ হত্যার পর লাশগুলো এখানে ফেলে রেখেছে।

প্রসঙ্গত, রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সাতগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচরুখী ফকির বাড়ি নামক স্থানে চার ব্যাক্তির লাশ পড়ে ছিল। তাদের প্রত্যেকের মুখমন্ডল থেঁতলানো ছিল। অনেকের মাথার মগজ বের হয়ে পড়েছিল। চারজনের মাথায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে দুইটি পিস্তুল, এক রাউন্ড তাজা গুলি ও  ঢাকা মেট্রো-চ-১৩-০৫০১ নাম্বারের একটি রুপালি রঙয়ের মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।

আরো পড়ুন : নারায়ণগঞ্জে চার যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

সারাবাংলা/এসএমএন

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন