July 17, 2018 | 3:23 pm
।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।
দুর্নীতি, বিদ্যুৎ ঘাটতি, পানির অভাব, সরকারি সেবা ক্ষেত্রের ভোগান্তি ও বেকারত্বের প্রতিবাদে ইরাকে আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করেছে। ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষে ৭ জন নিহত ও ১৯০ জন আহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে।
ইরাকের মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ফাদিল এল গারাভি বলেন, মঙ্গলবার হতাহতের সংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
গত সপ্তাহে বসরাতে প্রথম এই বিক্ষোভ শুরু হয়। নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে একজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হলে আন্দোলনে তীব্রতা বাড়ে। বড় বড় শহরগুলোর মধ্যে, নাজাফ, কারবালা, মাইসান ও রাজধানী বাগদাদে আন্দোলনকারীরা জমায়েত হতে চেষ্টা করছেন। তারা সরকারি অফিসগুলো ঘেরাও করছেন ও খনিগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আদেবি শুক্রবার (১৩ জুলাই) বসরা পরিদর্শন করে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি বসরায় ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা সত্ত্বেও আন্দোলনকারীরা শান্ত হননি।
দেশটির ৮০ ভাগ অপরিশোধিত তেল আসে বসরা প্রদেশ থেকে। কিন্তু স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, এই খাতে সব চাকরির সুযোগ শুধু বিদেশিদের কাছে। স্থানীয়রা কাজ পাচ্ছেন না। তারা অন্যান্য সেবাতেও সংস্কার চেয়ে আন্দোলন করছেন।
বসরায় আন্দোলনকারীদের একজন হুসেইন গাজী (৩৪) ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, তেল খনিগুলো আমাদের অথচ আমরা কিছুই পাচ্ছি না।
বিশৃঙ্খলা সামলাতে গুলি ছুড়তে বাধ্য হচ্ছে পুলিশ। বাগদাদে ইতোমধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সহিংসতা প্রতিরোধে পাঠানো হচ্ছে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। দক্ষিণ বাগদাদের সামওয়া শহরের একজন পুলিশ অফিসার বলেন, ‘কয়েকশ লোক আদালতে বিশৃঙ্খলা করতে চাইছিলো। কেউ কেউ গুলিও ছুড়ছিলো। আমাদের গুলি করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না।’
রবিবার সামওয়াতে পুলিশের গুলিতে দুজন আন্দোলনকারী নিহত হন।
নাজাফ বিমানবন্দর অচল হয়ে গেছে। কুয়েত সীমান্তের রাস্তা দখল করে নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এদিকে নাজাফের পুলিশ প্রধান আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
সারাবাংলা/এনএইচ