বিজ্ঞাপন

ইয়েমেন সংকট: হোদেইদাহ বন্দর বাঁচিয়ে আক্রমণে সরকারি বাহিনী

June 15, 2018 | 5:54 pm

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।

বিজ্ঞাপন

ইয়েমেন সরকার বলছে, বিদ্রোহীদের দখলে থাকা দেশটির প্রধান বন্দরনগরী হোদেইদাহকে বাঁচিয়ে তাদের বাহিনী আক্রমণ করছে। এই বন্দর দিয়েই দেশটিতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার ত্রাণ প্রবেশ করে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালেদ আলইয়েমানি বলেছেন, সেখানকার কোন স্থাপনা ধ্বংসের পরিকল্পনা তাদের নেই।

দাতব্যসংস্থাগুলো বলছে চলমান যুদ্ধের কারণে লক্ষাধিক মানুষের জন্য অতি প্রয়োজনীয় ত্রাণের সংস্থান বন্ধ রয়েছে, এর ফলে মহা খাদ্য সংকটের সৃষ্টি হবে, যা দুর্ভিক্ষের জন্ম দিতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে এসে খালেদ আলইয়েমানি বলেন, আমরা হোদেইদাহে বিমানবন্দরের কাছাকাছি স্থানে অবস্থান নিয়ে আছি, কিন্তু সমুদ্রবন্দরের কাছে নয়। সমুদ্রবন্দর সম্পূর্ণরূপে অভিযানমুক্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৫ জুন) হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিমানবন্দর এলাকা জোট বাহিনীর বিমান হামলার সহায়তায় দখল করে নেয় ইয়েমেন সেনারা।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে সমুদ্রবন্দর এখনও ব্যবহারযোগ্য রয়েছে এবং সেখানে তাদের কর্মকর্তারা খাদ্য বিতরণের কাজ করছেন।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সবাই জনস্থাপনা ও নাগরিকদের ঘরবাড়ি এড়িয়ে যাবেন, এই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ডেভিড বিসলে।

বুধবার (১৩ জুন) ইয়েমেনের প্রধান বন্দরনগরী হোদেইদাহে হামলা চালায় সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন ইয়েমেন সেনারা। ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে গত তিন বছর ধরে চলছে এই লড়াই। বুধবারের ওই হামলা ছিল সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোটের করা অন্যতম বড় হামলা।

বিজ্ঞাপন

হুতি বিদ্রোহীরা এই বন্দর ছাড়াও ইয়েমেনের রাজধানী সানা নিয়ন্ত্রণ করছে। ইয়েমেনের অধিকাংশ মানুষের জীবনযাত্রা এ হোদেইদাহ বন্দর নগরকেন্দ্রিক। এ ছাড়া বেশির ভাগ মানুষের বসবাস হুতি বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায়। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় হুতি বিদ্রোহী নেতা মোহাম্মদ আলী আল-হুতি লোহিত সাগরের কৌশলগত জাহাজ চলাচল পথ ধরে তেলের ট্যাংকারগুলোতে আক্রমণ চালানোর হুমকি দেন। তিনি পশ্চিমা সমর্থিত ওই জোটকে এই বন্দরে নতুন করে হামলা না চালানোর ব্যাপারেও সতর্ক করে দেন।

হোদেইদাহ নগরের বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। এই বন্দরনগরে লড়াই শুরু হলে অন্তত আড়াই লাখ মানুষের জীবন হুমকিতে পড়তে পারে। সেই সঙ্গে ইয়েমেনে চরম ক্ষুধা ও নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত লাখ লাখ লোকের জন্য ত্রাণ ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ২০১৫ সালে আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট ইয়েমেনে দুই পক্ষের লড়াইয়ে অংশ নেয়।

সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা, সিএনএন

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআইএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন