বিজ্ঞাপন

উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চায় কক্সবাজারের ভোটাররা

December 11, 2018 | 11:11 am

।। ওমর ফারুক হিরু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

কক্সবাজার: উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার। মহেশখালীর মাতাবাড়ী কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেরিন ড্রাইভ সড়ক, আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর, শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, শেখ হাসিনা আশ্রয়ন প্রকল্প, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট, রেললাইন, টেকনাফের জালিয়ার দ্বীপ অর্থনৈতিক জোন, মেডিকেল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, কোস্টগার্ডের স্টেশন, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর, মহেশখালী ট্যুরিজম পার্কসহ ২৫টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিনির্মাণ হচ্ছে আধুনিক পর্যটন নগরী।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একের পর এক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকায় সচেতন ভোটাররা বলছেন, আবারও দরকার আওয়ামী লীগ সরকার। কারণ চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাল্টে যাবে পর্যটন নগরীর চেহারা। একই কথা বলছেন, খোদ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানও।


কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাস্তবায়ন হওয়া ও প্রক্রিয়াধীন থাকা ২৫টি মেগা প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- টেকনাফের নাফ নদীর জালিয়ার দ্বীপের ট্যুরিজম পার্ক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বাস্তবায়নাধীন মেরিন ড্রাইভ সড়ক, মহেশখালীর মাতাবাড়ী কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, এলএনজি টার্মিনাল ও আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড নামে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পেকুয়ার উজানটিয়া ইউনিয়নের করিয়আরদিয়ায় কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, মহেশখালী ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড চট্টগ্রামের নিয়ন্ত্রণাধীন ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্প।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও বেজা কর্তৃপক্ষের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চল, শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট, মেডিকেল কলেজ, দোহাজারী-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্প, রামুতে দ্বিতীয় বিকেএসপি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, কোস্টগার্ড স্টেশন। রয়েছে খুরুশকুলের শেখ হাসিনা আশ্রয়ন প্রকল্প, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর ও মহেশখালী টুরিজম পার্ক প্রকল্পসহ ২৫টি প্রকল্প।

বর্তমান সরকারের আমলে শুরু হওয়া এসব উন্নয়ন প্রকল্প ঠিকমতো বাস্তবায়ন করতে ধারাবাহিক সরকার প্রয়োজন বলে মনে করছেন আইনজীবী লিয়াকত হোসেন। তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে যেসব দেশ উন্নত হয়েছে তা সম্ভব হয়েছে ধারাবাহিক সরকারের মাধ্যমে।’


তিনি পাশ্ববর্তী দেশ মালয়েশিয়ার উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘ ২২ বছর একাধারে ধারাবাহিক সরকার থাকার কারণে মালয়েশিয়া বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুতরাং বর্তমান সরকার কক্সবাজারের উন্নয়নে যে কাজগুলো হাতে নিয়েছে তা শেষ করতে পারলে পুরো বাংলাদেশ একটি জায়গায় পৌঁছাবে। তাই ধারাবাহিক সরকারের মাধ্যমে এই কাজগুলো শেষ করা জরুরী হয়ে পড়েছে।’

বিজ্ঞাপন

আনোয়ার ইসলাম নামে আরেক ভোটার বলেন, ‘উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এই সরকারের বিকল্প নেই। কারণ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ এরইমধ্যে শেষ হলেও আরও কাজ বাকি রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ক্ষমতায় এলে কাজ সম্পন্ন হবে। আর কক্সবাজারবাসী কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন পাবে।’

শহরের বাহারছড়া এলাকার ওমর ফারুক নামে এক যুবক জানান, বর্তমান সময়ে নির্বাচনে জনগণ ঠিকমত ভোট দিতে পারছেনা। সারা দেশে হত্যা, গুম সহ নানা অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। তাই রাজনৈতিক দলের পরিবর্তন দরকার।

আনোয়ার ইসলাম নামে আরেক ভোটার জানান, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য এই সরকারের বিকল্প নেই। কারণ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ইতিমধ্যে শেষ হলেও আরও কাজ বাকি রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার আবারও ক্ষমতায় আসলে এবস কাজ সম্পন্ন হবে। আর কক্সবাজারবাসী তথা দেশের মানুষ কাঙ্খিত উন্নয়ন পাবে।


তবে শহরের বাহারছড়া এলাকার মোহাম্মদ জয়নাল নামে আরেক যুবক জানান, ‘দেশের রাস্তা-ঘাট পরিবর্তনকে পরিবর্তন বলে না। শুধু এককভাবে উন্নয়নকে উন্নয়ন বলে না। দেশের সবদিকে উন্নয়ন হতে হবে। তখনই হবে উন্নয়ন। গণমানুষের ভোটাধিকারসহ সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়াকেই পরিবর্তন বলে। তাই আমি মনে করি এই সরকারের পরিবর্তন দরকার।’

বিজ্ঞাপন

তবে কক্সবাজারের উন্নয়নে শেখ হাসিনার হাত মজবুত রাখার কথা বলে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ জানান, এই জেলাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর যে স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালে তাকে প্রথম দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি কক্সবাজার শহরকে পরিবর্তন করতে একের পর এক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন।

বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার যেসব প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রেললাইন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মহেশখালীর এলএমজি টার্মিনাল, কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ছাড়াও মেরিন ড্রাইভকে পরিকল্পিত আধুনিক পর্যটন নগরী করা হবে।’

সারাবাংলা/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন