বিজ্ঞাপন

উপ-কমিটি বাতিল বা স্থগিত হয়নি : ওবায়দুল কাদের

January 21, 2018 | 1:32 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : সদ্য ঘোষিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি বাতিল বা স্থগিত হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দলে অনেক অনুপ্রবেশকারী আছে। এদের চিহ্নিত করতে হবে। কিছু কিছু লোক আছে তারা পদ পাওয়ার পর এলাকায় গিয়ে বিলবোর্ড করে। সংসদ সদস্যদের গিয়ে ডিস্টার্ব করে।

রোববার দুপুরে সচিবালয়ের নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সম্প্রতি উপ-কমিটি নিয়ে সৃষ্ট পরিস্থিতি সম্পর্কে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

কাদের বলেন, উপ-কমিটি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্ট হয়েছে। দলের নিয়ম অনুযায়ী ৯৫ জন সহ সম্পাদক রাখার বিধান রয়েছে। তরুণ নেতাদের কাজে লাগাতে আমাদের নেত্রী এ ব্যবস্থা করেছেন। সম্পাদকদের সহযেগিতা করার জন্য। উপ-কমিটি ও সহ-সম্পাদক বিষয় দুটো আলাদা। আমাদের ১৯টি বিভাগ রয়েছে। আগে দু একটি ছাড়া সব কমিটি গঠন করা হত না। এখন আমরা সব কমিটি গঠন করছি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বনেল, অফিস থেকে উপ-কমিটিতে যাদের নাম চুড়ান্ত খসড়া করা হয়েছে, যা অফিস সেক্রেটারির কাছে ছিল। সেটা প্রকাশ পেয়েছে। এটাতে তো আমার স্বাক্ষর ছিল না। তারপরেও এটা প্রকাশ পাওয়ার পর অনেকেই আমার কাছে গিয়েছে, কথা বলেছে। এখন আমরা তিন মাসের সময় নিয়েছি। এক মাস হয়েছে। এর মধ্যে আমরা অনুপ্রবেশকারী ও দুষ্কৃতিকারী চিহ্নিত করব।

তিনি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উপ-কমিটি নিয়ে প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে বলেন, গতকাল কোন বিক্ষোভ মিছিল হয়নি। সেখানে আমি কোন সাংবাদিক দেখিনি। কিন্তু আজ অনেক কাগজে নিউজ এসেছে আমি দরজা বন্ধ করে ছিলাম।

তিনি বলেন, আমি দরজা বন্ধ করে নামাজ পড়ছিলাম। সেটাকে বলা হয়েছে দরজা বন্ধ করেছিলাম। কাদের বলেন, কোথাও লিখেছে আমার গাড়ির সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। আমি তো দেখলাম আমার গাড়ির সামনে আনন্দ মিছিল হয়েছে। সাংবাদিকতার নিয়ম হচ্ছে দেখে লেখা।বিএনপির সহায়ক সরকার নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির নেতারাই জানে না তারা আসলে কী সরকার চায়। একবার সহায়ক সরকার, একবার নিরপেক্ষ সরকার, আরেকবার বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আসলেই তারা বিভ্রান্তিতে আছে। তাদের একেক নেতা একেক সময় একেক কথা বলে। বিএনপি নেতাদের মধ্যে কথা বার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে হাইকমান্ডকে খুশি করতে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের বিষয় উপস্থিত সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তাদের সহায়ক সরকারে রূপরেখা দেখে এ বিষয়ে কথা বলবো। তিনি বলেন, আর সংলাপের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। কারণ নির্বাচন হবে নিয়ম অনুযায়ী। সংলাপের কথা বলে বিএনপি আসলে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। বিনা প্রতিদ্ধন্ধিতায় আমাদের ইলেকশন করার ইচ্ছে নেই। কারণ আমাদের কাজ আছে, উন্নয়ন আছে। তাদের চেয়ে আমরা মাঠের অবস্থা বেশি জানি। বিএনপির নেতারা ব্যস্ত সেমিনারে, প্রেস ব্রিফিংয়ে। আমরা মাঠে ব্যস্ত। আমরা সারাদেশে মানুষের কাছে যাচ্ছি। মানুষের খোঁজ নিচ্ছি। এদেশের ৮০ ভাগ জনগন বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিকে সমর্থন করে না, ঘৃণা করে।

 

 

সারাবাংলা/এইচএ/জেএ/একে

বিজ্ঞাপন

আ’লীগের উপ-কমিটিতে পদ না পাওয়া নেতাদের বিক্ষোভ

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন