বিজ্ঞাপন

‘ঋণের সুদ হার না কমালে কর সুবিধা পাবে না ব্যাংকাররা’

June 21, 2018 | 5:49 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঋণে সুদের হার না কমালে ব্যাংকগুলো করপোরেট কর কমানোর সুবিধা পাবে না বলে জানিয়েছেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া।

বৃহস্পতিবার (২১ জুন) রাজধানীর মতিঝিলে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এমসিসিআই) উদ্যোগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক গোলটেবিল আলোচনায় এনবিআর চেয়ারমান এ কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করপোরেট কর কমানোর বিষয়ে চারদিকে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। এটা আসলে সৌভাগ্যবশত ব্যাংকাররা পেয়ে গেছে। তবে, ব্যাংকখাতে করপোরেট কর কমানোয় একটা সুবিধা হয়েছে, আমরা ব্যাংকগুলোকে চাপ দিতে পারব ঋণ সুদের হার কমিয়ে আনার জন্য।

বিজ্ঞাপন

এনবিআর চেয়ারমান বলেন, আমরা তালিকাভুক্ত ও তালিকা বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে থেকে সর্বোচ্চ করপোরেট কর রয়েছে, এমন প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আড়াই শতাংশ ট্যাক্স কমিয়েছি, যেটা ব্যাংক পেয়ে গেছে। তবে যদি সব খাতে একই হারে কমানো হতো তাহলে আমাদের রাজস্ব আয় কমে যেত।

মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ব্যবসায়ীদের দাবির অনেক কিছুরই প্রতিফলন হয়েছে। এবার আমরা ব্যবসাবান্ধব বাজেট করেছি। এটা করতে গিয়ে আমাদের রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে অনেক কিছু ছাড় দিতে হয়েছে। নতুন করে কোনো করারোপ করা হয়নি। এ নিয়ে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে। অনেকের অনেক আপত্তি আমলে নিচ্ছি। যতটা সম্ভব আমরা বাজেট পাসের আগে সেগুলো সংশোধন করার চেষ্টা করব।

এনবিআর চেয়ারমান বলেন, ব্যক্তি করমুক্ত আয়সীমা না বাড়ানো ঠিক আছে। কিন্তু সব দিকে ছাড় দিতে গিয়ে এটা করা যায়নি। কারণ করপোরেট টাক্স কমানোর কারণে রাজস্ব আয় কমবে ২ হাজার কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ভ্যাট কার্যকর করতে আমরা ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) ব্যবহার বাধ্যতামূলক করব। আগামী এক বছরের মধ্যে ছোট বড় যত লেনদেন আছে সব লেনদেনের ক্ষেত্রে ইএফডি কার্যকর করা হবে। এর মাধমে যদি অটোমেশন হয় এবং ভ্যাট আইন কার্যকর হয় তাহলে রাজস্ব আয় বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে যারা বাংলাদেশে এসে চাকরি করে টাকা নিয়ে যাচ্ছেন তাদের ট্যাক্সের আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করছি।

ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে অভ্যন্তরীণভাবে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ট্যাক্স জিডিপির রেশিও যদি ২০ এর কাছাকাছি না হয় তাহলে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়া সম্ভব না।

তিনি বলেন, একটি মধ্য মেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে এসডিজি অর্জন করা যাবে। আর তা করতে হলে বাংলাদেশের আয়ের ৮০ শতাংশ রাজস্ব আয়ের মাধ্যমে অর্জন করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ডিপোজিট গ্রোথ এক সময় খুব ভালো অবস্থানে থাকলেও বর্তমানে তা নেই। কয়েক বছর আগে এফডিআর ১৯ শতাংশ থাকলেও বর্তমানে তা সাড়ে ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এটা উদ্বেগের কারণ।

এমসিসিআই সভাপতি নীহাদ কবির বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে। সেজন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও অবকাঠামোখাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/জেএএম

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন