January 8, 2019 | 4:32 pm
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: আর মাত্র আধাঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হলেই বাঁচানো যেত না সদ্যজাত শিশুটিকে। কিন্তু একজন পুলিশ উপপরিদর্শকের উপস্থিত বুদ্ধি আর দক্ষতা বাঁচিয়ে দিয়েছে তার প্রাণ। বেঁচেছেন তার গর্ভধারিনীও, যিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে বলেই চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকায় পরিচিত।
আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শীতের রাতে নালার পাশে রাস্তার ফুটপাতে সন্তান প্রসব করেন মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী। মায়ের নাড়িতে আবদ্ধ হয়ে থাকা সদ্যোজাত শিশুটি কাঁদছিল। বাঁচার জন্য দুর্বল শরীরের ক্ষীণ কণ্ঠ থেকে ভেসে আসছিল প্রসূতির আকুতিও।
খবর পেয়ে পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেখানে ছুটে যান। দুজনকে দ্রুত গাড়িতে তুলে নিয়ে যান আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে। পুলিশ সদস্যের এই আপ্রাণ চেষ্টায় প্রাণে বাঁচলো নবজাতক ও প্রসূতি।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (০৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর আগ্রাবাদে জাতি-তাত্ত্বিক জাদুঘরের পাশে গ্রামীণ ফোন সেন্টারের সামনে।
নবজাতক ও প্রসূতির প্রাণ বাঁচানো এস আই মাসুদুর রহমান স্থানীয় ডবলমুরিং থানার দেওয়ানহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ।
এস আই মাসুদুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘মা ও শিশু হাসপাতালের ডাক্তাররা বলেছেন, হাসপাতালে নিতে যদি আধাঘণ্টা দেরি হত নবজাতক কন্যাটির প্রাণ বাঁচানো যেত না। কারণটি নবজাতক তার মায়ের মল খেয়ে ফেলেছিল। চিকিৎসকেরা দ্রুত ওয়াশ করে প্রাণ রক্ষা করেছেন। মায়ের অবস্থাও সংকটাপন্ন ছিল। তাকেও বাঁচানো গেছে।’
টহল পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান বলে জানান এস আই মাসুদুর রহমান।
‘প্রসূতি মহিলাটি আগ্রাবাদ এলাকায় ঘুরেফিরে ফুটপাতে থাকেন। তার মানসিক সমস্যা আছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজের চোখে যখন দেখলাম, মা এবং সন্তানের অবস্থা খুবই খারাপ, তখন তাদের বাঁচানো ছাড়া ভিন্ন কিছু আমার মাথায় আসেনি। তাদের প্রাণটা রক্ষা করতে পেরেছি, এটাই বড় কথা। নিজের ভালো লাগার একটা বিষয়ও তো আছে।’ বলেন এস আই মাসুদুর রহমান
সারাবাংলা/আরডি/এনএইচ