বিজ্ঞাপন

এগিয়ে থেকেও জয় পায়নি বাংলাদেশ

August 16, 2018 | 4:51 pm

।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

এশিয়ান গেমস ফুটবলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ফুটবল দল এগিয়ে থেকেও জিততে পারলো না। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ। ইংলিশ কোচ জেমি ডে’র আনুষ্ঠানিক প্রথম ম্যাচে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। তবে, নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ালেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য প্রতিপক্ষ কাতার।

এশিয়ান গেমস ফুটবলে বাংলাদেশ কখনোই গ্রুপ পর্ব টপকাতে পারেনি। ইন্দোনেশিয়ার পাকানসারি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় শুরু হওয়া এ ম্যাচ জমে উঠেছিল প্রথম থেকে। প্রথমার্ধ ০-০ ব্যবধানে থাকা জেমি ডে’র শিষ্যরা এগিয়ে যায় দ্বিতীয়ার্ধে এসে। ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য দেখিয়ে খেলতে থাকে জামাল-জাফরদের বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে কোনো গোল না পেলেও ম্যাচের ৫২ মিনিটে লিড নেয় বাংলাদেশ। গোলটি করেন মাহবুবুর রহমান। দ্বিতীয়ার্ধের ৮০ মিনিটে সমতায় ফেরে থাইল্যান্ড। সুপাচাই জাইদেদের গোলে ম্যাচ ফেরে ১-১ সমতায়। বাকি সময়ে আর কোনো গোল হয়নি।

প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমে কিছুটা বদল আসে খেলার ঢঙে। এশিয়ান গেমসের প্রাথমিক পর্বে বাংলাদেশ নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ফিরে পাচ্ছিলো প্রথম থেকে। গোলে এগিয়ে গেলেও জয় পাওয়া হলো না লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।

বিজ্ঞাপন

ম্যাচের বয়স তখন ৫২ মিনিট। মাহবুবুর রহমান সুফিলের গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপরেই রক্ষণাত্মক খেলতে থাকে রহমত-জাফররা। তবে, আগলে রাখতে পারেননি নিজেদের গোলবার। ম্যাচের ৮০ মিনিটে সমতায় ফেরে থাইল্যান্ড। এরপরে কয়েকবার আক্রমণ করেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচের শেষ মিনিটে দারুণ একটি গোলের সুযোগ তৈরি করে বাংলাদেশ কাঁপিয়ে দিয়েছিল থাইল্যান্ডের রক্ষণকে।

উজবেকিস্তানের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারার পর থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ ড্রতে অন্তত স্বস্তিতে লাল-সবুজরা। সবশেষ ম্যাচ রোববার কাতারের বিপক্ষে। থাইল্যান্ড ম্যাচে ড্র দিয়ে অন্তত গ্রুপ পর্ব টপকে যাওয়ার আশা মরে যায়নি বাংলাদেশের। শেষ ম্যাচ জয়ের কোন বিকল্প নেই তাদের।

এর আগে ফুটবলে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড দ্বৈরথ বেশ পুরনো। যেখানে রেকর্ড মোটেই বাংলাদেশের পক্ষে নয়। ১৯৭৩ সালে মারদেকা টুর্নামেন্ট দিয়ে দুই দলের লড়াই শুরু। প্রথম ম্যাচে ২-২ গোলের ড্রয়ে নিষ্পত্তি হলেও এরপর দুই দলের ১২ খেলায় থাইল্যান্ডের ৯ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ২টিতে। অপর ম্যাচটি ড্র। ১৯৮৫ সালে প্রথমবার থাইদের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পায় বাংলাদেশ। সবশেষ জয়ের ঘটনা ৩-১ গোলে ১৯৮৯ সালে। দুই দল সর্বশেষ মুখোমুখি হয় ২০১২ সালে। সেবার ৫-০ গোলের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে থাইল্যান্ড। এই পরিসংখ্যান জাতীয় দলের। আর এশিয়ান গেমসে মুখোমুখি হয়েছে অনূর্ধ্ব-২৩ বয়সভিত্তিক দল। ভিন্ন ফরম্যাট, ভিন্ন কন্ডিশন। এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ যেখানে হার দিয়ে শুরু করেছে, সেখানে কাতারের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে মাঠ ছেড়েছিল থাইল্যান্ড।

বিজ্ঞাপন

এশিয়াডে ফুটবল দল: আশরাফুল ইসলাম রানা, আনিসুর রহমান, বিশ্বনাথ ঘোষ, ফজলে রাব্বি, জাফর ইকবাল, জামাল ভূঁইয়া, মাহবুবুর রহমান, তপু বর্মন, মাহফুজ হাসান প্রীতম, মনজুরুর রহমান, মাসুক মিয়া জনি, মো: আবদুল্লাহ, সুশান্ত ত্রিপুরা, টুটুল হোসেন বাদশা, সা’দ উদ্দিন, রহমত মিয়া, মতিন মিয়া, রবিউল হাসান, বিপুল আহমেদ, আতিকুর রহমান ফাহাদ।

ম্যানেজার: সত্যজিৎ দাস রুপু, কোচ: জেমি ডে, সহকারী কোচ: স্টুয়ার্ট পল ওয়াটকিস, ফিটনেস কোচ: রজার পল ডেভিস।

সারাবাংলা/জেএইচ/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন