বিজ্ঞাপন

এডিপি বাস্তবায়নে রেকর্ড: পরিকল্পনামন্ত্রী

December 9, 2018 | 6:12 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: পাঁচ মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের রেকর্ড হয়েছে। চলতি ২০১৮০১৯ অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের হার ২০ দশমিক ১৫ শতাংশ। গত বছরের একই সময়ে এ হার ছিল ২০ দশমিক ১১ শতাংশ। অন্যদিকে অর্থ খরচের দিক থেকেও ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে।

রোববার (৯ ডিসেম্বর) মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, এটি এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ এডিপি বাস্তবায়ন। সেই সঙ্গে তিনি ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজন বলেও  মন্তব্য করেন। এক্ষেত্রে মেরামত করে উন্নতির বদলে সংস্কার আনার প্রতি তাগিদ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের তৈরি করা প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো খরচ করেছে ৩৬ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের একই সময়ে খরচ হয়েছিল ৩২ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা। তার আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে খরচ হয় ২৩ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। এছাড়া, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৭ হাজার ১১ কোটি টাকা ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে খরচ হয়েছিল ১৬ হাজার ৮৪৩ কোটি টাকা।

বিজ্ঞাপন

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় নির্বাহী কমিটির (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. জিয়াউল ইসলাম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী,  আইএমইডির সচিব আবুল মনসুর মোহাম্মদ ফায়জুল্লাহ, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামিমা নার্গিস, মোহাম্মদ দিলোয়র বখতসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী জানান, অর্থনীতির ক্ষেত্রে রফতানি, রেমিটেন্স, বিনিয়োগ, রাজস্ব আয়— সব ক্ষেত্রেই ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশে। এই অবস্থা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছর শেষে জিডিপি প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ৮ দশমিক ২৫ থেকে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। এছাড়া ২০২১ সাল নাগাদ প্রবৃদ্ধি দাঁড়াবে ১০ শতাংশে। তবে এই অর্জন ধরে রাখতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জন এবং অর্থনীতির লাইফ লাইন মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন শেষ করতে হলে সরকারের ধারাবাহিকতা থাকা প্রয়োজন। এসময় তিনি সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেওয়া ও দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সুন্দর থাকায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ বেড়েছে। শিল্প কারখানায় বিদ্যুৎ পেতে আর সমস্যা নেই। তাই কর্মসংস্থানও বাড়বে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ বাড়ছে। সেগুলো ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে।

আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এডিপি বাস্তবায়নে এগিয়ে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হচ্ছে— অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (৪১ দশমিক ৪২ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন), আইএমইডি (৪০ দশমিক ৮৫ শতাংশ), জ্বাালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় (৩৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ), বিদ্যুৎ বিভাগ (৩৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ), প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় (৩৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ), নির্বাচন কমিশন সচিবালয় (৩০ দশমিক ৬৫ শতাংশ), পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ (৩০ দশমিক ৫০ শতাংশ) এবং খাদ্য মন্ত্রণালয় (৩০ দশমিক ৪১ শতাংশ)।

এডিপি বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টাকায়ও খরচ করতে পারেনি। এছাড়া অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ শুন্য দশমিক ৯১ শতাংশ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ২ শমিক ৩৩ শতাংশ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৮ দশমিক ৩৮ শতাংশ, দুর্নীতি দমন কমিশন ৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ এডিপি বাস্তবায়ন করেছে।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন