বিজ্ঞাপন

এবাদত-মোশাররফে এগিয়ে সেন্ট্রাল জোন

April 17, 2018 | 5:26 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

বিসিএলের প্রথম চার রাউন্ড ছিল রানপ্রসবা, ব্যাটসম্যানদেরই জয়-জয়কার ছিল কমবেশি। মাত্র একটি ম্যাচ ছাড়া বাকি সব ম্যাচ ড্র হয়েছিল। তবে, পঞ্চম রাউন্ডে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন ও প্রাইম ব্যাংক সাউথ জোনের ম্যাচে ফল আসার সম্ভাবনা আছে ভালোমতোই।

রাজশাহীতে আজ প্রথম দিনেই অলআউট হয়ে গেছে সাউথ জোন, পরে ব্যাট করতে নেমে তাদের প্রায় ধরেই ফেলেছে সেস্ট্রাল জোন। প্রথম দিনেই সাউথ জোনের ১৯১ রানে অলআউট হওয়ার পর সেন্ট্রাল জোন ২ উইকেট হারিয়ে তুলে ফেলেছে ১৫৪ রান।

অথচ প্রথম ৮ ওভার শেষেও বোঝা যায়নি এমন কিছু হতে পারে। স্কোরবোর্ডে তখন তরতর করে রান উঠছে, ১১ ওভারের মধ্যেই এসে গিয়েছিল ৬৪ রান। ৪১ বলে ৪০ রান করে ফিরে গেছেন ফজল মাহমুদ, সাউথ জোনের পতনের শুরু সেখান থেকেই। এরপর ৩০ বলে ২৩ রান করে ফিরে গেছেন এনামুল হক বিজয়।

বিজ্ঞাপন

ইমরুল কায়েসও টেকেননি বেশিক্ষণ, ৩৬ বলে ২৬ রান করে আউট হয়ে গেছেন সালাউদ্দিন শাকিলের বলে। ফর্মে থাকা তুষার ইমরানকে মোশাররফ রুবেল ফিরিয়ে দিয়েছেন ১৪ রানে, মোহাম্মদ মিঠুন এবাদতের বলে আউট হওয়ার আগে করেছেন ১৮ রান। সাউথ জোন ১৫৫ রানে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট।

শেষের ধসটা এসেছে অবশ্য নাটকীয়ভাবে। ২৮ রান করে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ফিরে যাওয়ার পরেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে সাউথ জোনের ইনিংস। ২৫ রানের মধ্যে হারিয়েছে শেষ ৫ উইকেট, মোসাদ্দেক হোসেন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ২১ রানে। চার উইকেট করে পেয়েছেন এবাদত ও মোশাররফ, শাকিল পেয়েছেন দুইটি।

এই রান তাড়া করতে নেমে সেন্ট্রাল জোনও শুরুটা করেছে দ্রুত। ১৩ ওভারের মধ্যে তুলে ফেলে ৫০ রান, তবে ৪৭ রানেই ভেঙেছে উদ্বোধনী জুটি। ৩০ রান করে ফিরে যান ওপেনার সাইফ হাসান। আবদুল মজিদও খেলছিলেন হাত খুলে, শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলে ৪৪ রান করে এলবিডব্লু হয়েছেন আবদুর রাজ্জাকের বলে। এরপর সাদমান ইসলাম ও মার্শাল আইয়ুব আর কোনো বিপদ হতে দেননি। দিন শেষে সাদমান অপরাজিত ৬৬ রানে, মার্শাল ১৪ রানে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন