এবার আটকে গেলেন ঢাকা-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী আশফাক

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১ আসন থেকে নির্বাচন করতে পারবেন না বিএনপি প্রার্থী নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার আবু আশফাক। সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত বহাল রেখে রুল জারি করেছেন আদালত।

এদিন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর আগে সকালে আপিল বিভাগের এক আদেশে বিএনপির তিন প্রার্থীর নির্বাচনের পথ বন্ধ হয়ে যায়।

ওই আসনে কুলা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী বিকল্পধারা বাংলাদেশ-এর প্রার্থী জালাল উদ্দিনের করা রিট শুনানি নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার শামীম আহমেদ মেহেদী ও ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম।

তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের পদত্যাগ গৃহীত হওয়ার আগেই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যদিও নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্র বৈধ করেছিল। নির্বাচন কমিশনের সেই সিদ্ধান্ত হাইকোর্ট বিভাগ স্থগিত করেছেন।

ব্যারিস্টার আব্দুল কাইয়ুম বলেন, কমিশনের এই সিদ্ধান্ত স্থগিত হওয়ায় তিনি আর আপাতত নির্বাচন করতে পারছেন না।

এদিকে সকালে আপিল বিভাগের আদেশে বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে বিএনপি প্রার্থী শাহজাহানপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাদল সরকার, বগুড়া-৩ আসনে বিএনপির আব্দুল মুহিত তালুকদার ও ঢাকা-২০ আসনের প্রার্থী (ধামরাই উপজেলার চেয়ারম্যান) তমিজ উদ্দিন সরকারের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র অবৈধ হয়ে যায়।

ঢাকা-১ আসনে প্রতীক পেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সালমান এফ রহমান (নৌকা), বিএনপির খন্দকার আবু আশফাক (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের কামাল হোসেন (হাতপাখা), বিকল্পধারার জালাল উদ্দিন (কুলা), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) আবিদ হোসেন (কাস্তে), জাকের পার্টির সামসুদ্দিন আহমদ (গোলাপ ফুল), বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সিকান্দার হোসেন (কোদাল) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সালমা ইসলাম (মোটরগাড়ি)।

সারাবাংলা/এজেডকে/এটি