বিজ্ঞাপন

এবার চট্টগ্রামে জব্দ ২০৮ কেজি ‘খাট’

September 20, 2018 | 1:57 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো : গ্রিন টি বা সবুজ চা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশে আনা নতুন ধরনের মাদক ‘খাট’ এর ২০৮ কেজির দুইটি চালান জব্দ করা হয়েছে। ইথিওপিয়া থেকে এসব খাট বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল।

এর আগে রাজধানী থেকে খাটের কয়েকটি চালান জব্দ করা হলেও এই প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক রাজধানী থেকে খাট জব্দ করা হলো।

বৈদেশিক ডাক বিভাগের মাধ্যমে গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রামে এসে পৌঁছে খাটের এই চালান দুটি। এর আগে এগুলো এসেছিল ঢাকা পোস্ট অফিসে। সেখান থেকে চট্টগ্রাম ও ফেনির ঠিকানায় আসা দুটি পার্সেল চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এসময় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ খবর পায় যে ডাক বিভাগের মাধ্যমে খাটের চালান এসেছে। তখন পার্সেলদুটি ৬ সেপ্টেম্বর আটক করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পরীক্ষা করে জানা যায় যে এগুলো গ্রিন টি নয় বরং ভয়ানক মাদক খাট।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কাস্টমস কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। তিনি বলেন, একই সময়ে দুটি আলাদা পার্সেলে মোট ১৩টি কার্টনে ২০৮ কেজি খাট বাংলাদেশে আসে। এগুলোর একটির প্রেরক ইথিওপিয়ার জিয়াদ মোহাম্মদ। প্রাপক হিসেবে লেখা হয়েছে, মো. ইফতেখার হোসেনের নাম। তার ঠিকান, বাড়ি নম্বর ২৩, রোড ১, লেইন ৪, নিউ এ ব্লক হালিশহর। মোট ১০ টি কার্টনে তার নামে পাঠানো হয়েছে ১৬০ কেজি খাট।

আরেকটি পার্সেল এসেছে ইথিওপিয়ার জেমিরা ট্রেডিং (পিএলসি) থেকে। এটির প্রাপক আরিফ এন্টারপ্রাইজ। ঠিকানায় লেখা হয়েছে, প্রযত্নে আরিফ ভূঁইয়া, শান্তিধারা আবাসিক এলাকা, শান্তি কোম্পানি, ফেনী সদর, ফেনী। এই ঠিকানার অনুকূলে তিনটি কার্টনে ৪৮ কেজি খাট পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কাস্টমস কমিশনার আরো বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৈদেশির ডাক বিভাগের মাধ্যমে আসা দুটি চালান আটক করেন তারা। ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যে এসব কার্টনে আসছে গ্রিন টি বা সবুজ চা। পরীক্ষা করে দেখা গেছে এগুলো গ্রিন টি নয়, বরং ভয়ানক মাদক খাট। এটি হচ্ছে ক্যাথেলিন গ্রুপের একটি উদ্ভিজ্জ পদার্থ। এই মাদক ইয়াবার চেয়েও ভয়ঙ্কর। যা জীবন ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

৬ তারিখ জব্দের এতোদিন পর এ বিষয়ে জানানো হলো কেন, সংবাদ সম্মেলনে তা পরিস্কার করেন ড. এ কে এম নুরুজ্জামান। তিনি বলেন, এতোদিন তারা তদন্ত করে দেখছিলেন। তদন্তে দেখা গেছে, যেসব ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে সেগুলো সঠিক নয়। অর্থাৎ ভুয়া ঠিকানা ও প্রেরকের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। তবে কারা এই বিপুল পরিমাণ খাট আমদানির সঙ্গে যুক্ত তা খুঁজে দেখা হচ্ছে বলেও জানান কাস্টমস কমিশনার।

ছবি : শ্যামল নন্দী

বিজ্ঞাপন

আরো পড়ুন : খাট: বাংলাদেশের ঘাড়ে আফ্রিকান নেশার ভূত!

শাহজালালে আবারও ১৪০ কেজি খাট জব্দ

শাহজালালে ২০ কেজি খাট জব্দ

সারাবাংলা/আরডি/এসএমএন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন