বিজ্ঞাপন

‘এমপিদের প্রচারণা সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হবে’

May 25, 2018 | 8:44 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: স্থানীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের প্রচারণার সুযোগ সুষ্ঠু নির্বাচনে অন্তরায় সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৫ মে) ‍গুলশানে ইমানুয়েলস ব্যাঙ্কয়েট হল আয়োজিত জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় সংসদ সদস্যরা অংশ নিতে পারবেন’— এমন সুযোগ রেখে বৃহস্পতিবার (২৪ মে) নির্বাচন কমিশনের সভায় আচরণবিধির সংশোধিত খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দাবির কাছে নতি স্বীকার করে নির্বাচন কমিশন সংসদ সদস্যদেরকে নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণার সুযোগ রেখে আচরণবিধির সংশোধিত খসড়া অনুমোদ দিয়েছে।’

‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই নির্বাচন কশিনের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে একটি নিরেপক্ষ নির্বাচনের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। বিশেষ করে স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে যদি সংসদ সদস্যদেরকে প্রচারণায় নামতে দেওয়া হয়, তাহলে সেখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে না। সে কারণেই আমরা পরিষ্কার করে বলছি, যেহেতু এখনো এটা আইনে পরিণত হয়নি, সেহেতু এই পথ থেকে সরে আসবে নির্বাচন কমিশন’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এই নির্বাচন কমিশন তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেনি। আমরা বহুবার সরকারের নির্যাতন নিপীড়নের কথা বার বার কমিশনকে বলে আসছিলাম। কিন্তু তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ঠিক একইভাবে গাজীপুর নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছিলাম, গাজীপুরে যে এসপি আছেন, তিনি সেখানে থাকলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। কারণ, অতীতে নির্বাচনে পক্ষপাতমূলক কাজ করায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।’

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গ সফর প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘ভালো কথা। প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে গেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করেছেন ভালো কথা। কিন্তু সেই সঙ্গে আমাদের প্রশ্ন, জনগণের প্রশ্ন, আমাদের যে পাওনা রয়েছে, যে সমস্যাগুলো রয়েছে সেগুলোর কী সমধান হবে? তিস্তা নদীর পানির যে ন্যায্য হিস্যা তার কী হবে।’

‘যেদিন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছিল, সেদিনই তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা তারা আদায় করবে। অথচ আজকে দীর্ঘ ৯ বছর হয়ে গেল এখন পর্যন্ত তিস্তা নদীর এক ফোটা পানিও তারা আনতে পারেনি। শুধু তিস্তা নয়, অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন নিয়ে কোনো চুক্তি তারা করতে পারেনি। অথচ দেখা যাচ্ছে সামরিক চুক্তি হচ্ছে, ট্রানজিট চুক্তি হচ্ছে, বন্দর নিয়ে চুক্তি হচ্ছে’— বলেন বিএনপির মহাসচিব।

মাদকবিরোধী অভিযানে বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘গত ৯ বছরে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের অভিযানের নামে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এখন আবার নির্বাচন সামনে রেখে এই রমজানে হঠাৎ করে মাদকবিরোধী অভিযানে নেমেছে সরকার। আমরা তো বলেছি, আগে নিজের ঘরটাকে পরিষ্কার করুন। আপনার ঘরের মধ্যে কতজন আছে, তাদের আগে ধরুন।’

বিজ্ঞাপন

জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ডা. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন দলটির মহাসচি মোস্তফা জামাল হায়দার।

ইফতারে অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, জামায়াতের মিয়া গোলাম সরওয়ার, আব্দুল হালিম, বাংলাদেশ ন্যাপের এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির এম এম আমিনুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আব্দুর রকিব, মুসলীম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, খেলাফত মজলিসের শেখ গোলাম আজগর, ডিএল’র সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, লেবার পার্টির হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ন্যাপ ভাসানীর অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, বিজেপির আব্দুল মতিন সাউদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফিত মহিউদ্দীন একরাম, ইসলামী পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, এনডিপির মো. মুসাসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এজেড/এটি

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন