বিজ্ঞাপন

এশার ঘটনায় বহিষ্কার হয়ে কারণ জানতে চাইলেন ছাত্রলীগ নেত্রী

April 19, 2018 | 8:54 pm

।। ঢাবি করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

কবি সুফিয়া কামাল হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে ঘটনা পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছেন হলটির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক খালেদা হোসাইন মুন। এই ঘটনায় তাকে কেন ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই এসব দাবি জানান।

এশাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক খালেদা হোসাইন মুনসহ মোট ২৪ জনকে বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে হলটির সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘আমাকে কেন বহিস্কার করা হয়েছে তা নিয়ে আমি এখনও অন্ধকারে রয়েছি। যেদিন ঘটনা ঘটে, সেদিন আমি হলে ছিলাম না। আমি গত এক বছর ধরে হলে নেই, তাহলে কেন আমাকে বহিষ্কার করা হল। আমি নিজেই জানি না কেন আমাকে বহিস্কার করা হয়েছে। আমি এটি জানতে চাই।’

এই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে খালেদা হোসাইন মুন আরও বলেন, ‘যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এর উপর ভিত্তি করে আমাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, সেই কমিটির কেউ আমার সাথে যোগাযোগই করেনি। আমি চাই পুনরায় তদন্ত করে যারা প্রকৃত দোষী তাদের শাস্তির আওতায় আনা হোক। সেখানে যদি আমিও দোষী হই তাহলে শাস্তি মেনে নেব।’

ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয়

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনায় বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সভায় হলের ২৬ শিক্ষার্থীকে শোকজের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই সভায় এশাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের পাশাপাশি ছাত্রীদের কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বুধবার রাতে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। তবে ওই ২৬ শিক্ষার্থীর নাম জানা যায়নি।

এশাকে লাঞ্ছনার ঘটনায় ছাত্রলীগ এর আগে ২৪ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে। এর মধ্যে রয়েছেন হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান কেন্দ্রীয় সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক খালেদা হোসেন মুন, সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি মোর্শেদা খানম, আতিকা হক স্বর্ণা ও মীরা।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের নির্যাতনের অভিযোগে গত ১০ এপ্রিল এশা বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কৃত হন। এশার উপর অবিচার করা হয়েছে দাবি করে তার গলায় ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন সংগঠনটির সাবেক নেতৃবৃন্দ। এর পরে ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে ছাত্রলীগ। পরে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ার কথা উল্লেখ করে এশার বহিষ্কারাদেশ তুলে নেয়া হয়। তার দুদিন পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও একই পদক্ষেপ নেয়। এরপর গত ১৬ এপ্রিল ছাত্রলীগ মোর্শেদাসহ ২৪ জনকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

বিজ্ঞাপন

গত ১০ এপ্রিল রাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনরত বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের থেকে যখন প্রক্টর এশাকে উদ্ধার করেছিলেন, তখন এই ছাত্রলীগ নেত্রী লাঞ্ছিতও হন।

সুফিয়া কামাল হলের ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের যে কমিটি হয়েছিল, সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ২৬ শিক্ষার্থীকে শোকজের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান উপাচার্য। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমন এ প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে হবে, কী শাস্তি হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।

সারাবাংলা/এমআইএস/

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook 

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন