বিজ্ঞাপন

ওদের প্লেয়ার্স ড্রাফটেই রাখার দরকার নেই: মঈন খান

March 21, 2018 | 6:52 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) প্রথম এলিমিনেটর ম্যাচে তামিম ইকবালের পেশোয়ার জালমির কাছে ১ রানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে। বিদেশি ক্রিকেটারদের না পাওয়ায় কোয়েটার বিদায় ঘটেছে বলে মনে করেন দলটির কোচ, পাকিস্তানের সাবেক তারকা মঈন খান।

কোনো রাখঢাক না করেই মঈন খান পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছে জানিয়ে দিলেন, আগামীবার থেকে সেসব ক্রিকেটারদের প্লেয়ার্স ড্রাফটে না রাখতে, যারা পাকিস্তানে খেলতে যেতে চায় না।

এবারো পিএসএলের রাউন্ড রবিন লিগের খেলা হয়েছে দুবাইয়ে। দুটি এলিমিনেটর, কোয়ালিফায়ার আর ফাইনাল হচ্ছে পাকিস্তানের মাটিতে। পিএসএল পাকিস্তানের মাটিতে ফেরায় খেলতে যায়নি ক্লাবের বিদেশি তারকারা। নিরাপত্তার অযুহাতে তারা পাকিস্তানে যেতে চায়নি।

বিজ্ঞাপন

কোয়েটাকে এই টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসন, জন হ্যাস্টিংগস, বেন লাফিং, ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসন। তারা দুজনই গতকালকের ম্যাচে কোয়েটার হয়ে খেলতে যাননি। মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয় কোয়েটাকে। তারপরও ১ রানে হেরে যায় কোয়েটা।

হ্যাস্টিংগস-লাফিং-ওয়াটসন-পিটারসেনরা পাকিস্তানে খেলতে না আসার কারণে পেশোয়ার জালমির কাছে শেষ মুহূর্তে মাত্র ১ রানে হেরে গেছে তার দল-এমনটি মনে করেন কোচ মঈন খান। তিনি জানান, ‘বিদেশি ক্রিকেটাররা প্রথম থেকেই আমাদের দলকে টেনেছে। ওদের নিয়ে আমরা সঠিক কম্বিনেশন গুছিয়ে নিয়েছিলাম। কিন্তু, ওরা পাকিস্তানে খেলতে আসেনি। আমরা কম্বিনেশন হারিয়েছে। আমি জানতাম ওয়াটসন চুক্তি করেছিল টুর্নামেন্ট শেষ করার। সে কথা রাখেনি। হ্যাস্টিংগস আনফিট থাকায় ছুটি নিয়েছিল। আর লাফিং ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পাকিস্তানে আসেনি। পিটারসেন আমাদের গতবার ফাইনালে তুলেছিল। সে এবার চুক্তির সময় আগেই বলেছে পাকিস্তানে আসবে না। কিন্তু, একজন কোচ হিসেবে বলছি, শুধু পিটারসেনের মতো বড় ক্রিকেটার নিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামা যায় না। ওয়াটসন আমাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১৯ রান করেছিল। আমি বিদেশি সব ক্রিকেটারকে চেয়েছিলাম।’

মঈন খান যোগ করেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাউকে অনুরোধ করার কোনো মানে নেই। আমাদের লিগের এখন অনেক বেশি ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি হয়েছে। এখন আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পালা এবং শুধুমাত্র দল নিয়ে চিন্তা করা উচিৎ। সুতরাং, ভবিষ্যতে আমাদের এই নীতিতে যাওয়া উচিৎ, যারা পাকিস্তানে আসতে চায় না, তাদের বাদ দিয়েই পিএসএল আয়োজন করতে হবে। এটা তো পাকিস্তান সম্পর্কে ভালো বার্তা দেয় না। বিদেশিদের এভাবে সরে দাঁড়ানোতে পাকিস্তানেরই ইমেজের ক্ষতি হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

মঈন খান আরও যোগ করেন, ‘আগামী বছর পিএসএলের প্লেয়ার ড্রাফটের সময় আমাদের উচিৎ, যে সব ক্রিকেটার পাকিস্তানে এসে খেলতে রাজি হবে, তাদেরকেই কেবল ড্রাফট তালিকায় রাখা। যদি কোনো ক্রিকেটারের পাকিস্তানকে সম্মান জানানোর ইচ্ছা থাকে, তাদেরই এই লিগে অংশ নেওয়া উচিৎ। এটা ক্রিকেট বোর্ডের দেখভালের বিষয়। বোর্ডের উচিৎ ক্রিকেটাররা পাকিস্তানে খেলতে আসবে কি না তা নিশ্চিত করা। কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি এটা আগে নিশ্চিত করতে পারবে না।’

সারাবাংলা/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন