বিজ্ঞাপন

‘কক্সবাজারে উসকানির মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চেষ্টা চলছে’

June 22, 2018 | 4:30 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সাম্প্রদায়িক উসকানির মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চেষ্টা চালাচ্ছে একটি মহল— এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো।

‘বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ এবং সহিষ্ণু সমাজ গঠন: ধর্মীয় এবং সামাজিক নেতাদের করণীয়’ শীর্ষক একটি কর্মশালায় শুক্রবার ওপরের তথ্যগুলো উঠে এসেছে। কর্মশালাটি রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।

অন্যদিকে সংকট রোধে সরকার ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

বিজ্ঞাপন

সেভ অ্যান্ড সার্ভ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে কর্মশালায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রধান অতিথি ছিলেন। এ ছাড়া জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি অ্যাডামা ডিঙ, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পোসহ সকল ধর্মাবলম্বী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক উসকানির মাধ্যমে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ভিন্নখাতে পরিচালনার চেষ্টা চালাচ্ছে একটি বিশেষ গোষ্ঠী। যা জাতীয় পর্যায়ে নিরাপত্তা ঝুঁকির সৃষ্টি করছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘কক্সবাজারে সন্ত্রাসবাদ রোধে ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে, স্থানীয় পর্যায়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে চরমপন্থা, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রোধে তৃণমূল পর্যায় থেকেই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পো বলেন, ‘বাংলাদেশে সকল ধর্মের এবং বর্ণের জাতিগোষ্ঠী নিয়ে সহাবস্থান এবং শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের ঐতিহ্য অনেক পুরনো। প্রাচীন এই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় বিষয়টির প্রতি এখন যত্ন নেওয়ার সময় এসেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক দপ্তরের বিশেষ প্রতিনিধি অ্যাডামা ডিঙ বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদ।’

পাকিস্তানিরা আমাদের জাতিগত পরিচয়, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সংস্কৃতি এবং চিন্তার ওপর আঘাত হেনেছিল বলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সহিষ্ণু এবং শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করা সমাজের জন্য কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা অনেকের থেকে খুব ভালো জানি। সামাজিক-রাজনৈতিক সহাবস্থানের মূলেই ধর্মীয় স্বাধীনতা বসবাস করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ধর্মীয় স্বাধীনতা, সহিষ্ণুতায় বিশ্বাসী এবং ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতবাদ হচ্ছে, ধর্ম যার যার কিন্তু উৎসব সবার। ঈদ, পূজা, বৌদ্ধ পূর্ণিমা এবং ক্রিসমাসসহ সকল ধর্মের চর্চা এবং উৎসব বাংলাদেশে হয়, যা পৃথিবীতে বিরল। বাংলাদেশের মানুষ সকল ধর্মের উৎসবই পালন করে এবং সরকারি ছুটি ভোগ করে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/একে

আরও পড়ুন

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ ‍সৃষ্টিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান
বৃষ্টিপাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিপর্যস্ত ৭ লাখ জীবন : রেডক্রস
‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে মতামত জানিয়েছি’
বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাঝি খুন
রোহিঙ্গা ইস্যুতে পদক্ষেপ নিতে শেখ হাসিনার আহ্বান

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন