বিজ্ঞাপন

কর্মচাঞ্চল্য ফেরেনি রাজধানীতে, বিনোদন কেন্দ্রে ভিড়

June 19, 2018 | 9:24 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঈদের ছুটি শেষে মানুষজন ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করলেও এখনও চিরচেনা রূপে ফেরেনি রাজধানী ঢাকা। ঈদের চতুর্থ দিনেও কর্মচাঞ্চল্য দেখা যায়নি ঢাকায়। বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে এখনও উপচে পড়া ভিড়। পরিবার-পরিজন নিয়ে ফাঁকা ঢাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন নগরবাসী। খোলা নেই অধিকাংশ হোটেল ও রেস্টুরেন্ট। এখনও বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ দোকানপাট। সবমিলিয়ে, ঈদ পরবর্তী দ্বিতীয় কর্মদিবসেও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে পায়নি এই মহানগরী।

মঙ্গলবার (১৯ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নগরীর প্রবেশ পথগুলোতে ঢাকামুখী মানুষের চাপ বাড়ছে। লঞ্চ ও বাস টার্মিনালে বাড়ছে ঈদ-ফিরতি কর্মজীবীদের পদচারণা। বিমানবন্দর ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের চিত্রও অভিন্ন। গ্রামে ঈদ করে খুশি মনে ফিরে আসছেন কর্মজীবীরা। রয়েছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষই।

ঈদের পর দ্বিতীয় কর্মদিবসে সরকারি-বেসরকারি অধিকাংশ অফিস খোলা থাকলেও কিছু কিছু অফিস এখনও বন্ধ। কোনো কোনো অফিস চলছে কমসংখ্যক কর্মী দিয়ে। বন্ধ রয়েছে পোশাক কারখানাগুলোও। গার্মেন্টকর্মীরা ফিরবেন সপ্তাহের শেষ নাগাদ। সব মিলিয়ে ক্রনক্রিটের নগরীতে মানুষের পদচারণা এখনও কম।

বিজ্ঞাপন

পরিবারের সঙ্গে যারা ঢাকায় আছেন, তারা দলবেঁধে ঘুরছেন এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি। ছোট-ছোট শিশুরা ‘কাজিনদের’ সঙ্গে পেয়ে মেতে উঠছে ঈদ আনন্দে। তরুণ-তরুণীদের দলও ঘুরছে বন্ধুদের নিয়ে। খোলা থাকা রেস্টুরেন্ট ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঢুঁ দিলে চোখে পড়ে সেই দৃশ্য।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মল সময় কাটাতে শ্যামলী ওয়ান্ডারল্যান্ডে (সাবেক শিশুমেলা) অভিভাবকদের সঙ্গে এসেছে শত শত শিশু। বিভিন্ন রাইডে চড়ে তারা মেতে উঠেছে আনন্দ উৎসবে। শিশুদের সঙ্গে থাকা অভিভাবকেরা মত্ত সেলফি বা ছবি তোলায়।

পরিবারের সঙ্গে মিরপুর থেকে আসা পাঁচ বছরের শিশু অভয় জানায়, অনেকগুলো রাইডে চড়ে সে খুব আনন্দিত। রাফসানা নামের এক তরুণী জানান, ছোট্ট কাজিনকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। শিশুর আনন্দে তার হৃদয়েও দোল খাচ্ছে শিশু সুলভ উন্মদনা। জানালেন, কয়েকটি রাইডে চড়েছেন তিনিও। আর পরিবারের কাছে অভয়ের বায়না, মাঝেমধ্যে যেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, শাহবাগের শিশু পার্কেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। শিশুরা এসেছে বাবা-মা কিংবা ভাই- বোনদের সাথে। বিভিন্ন রাইডে চড়ার পাশাপাশি কেউ কেউ ফুচকা ও আইসক্রিমের দোকানগুলোতে জটলা পাকিয়েছে। আর ঈদের দিন থেকেই শিশু পার্ককে ঘিরে শাহবাগের আশেপাশে দেখা যাচ্ছে যানজট। বিকেলের দিকে শাহবাগ মোড়েও উৎসব-আনন্দের রেশ পাওয়া গেছে। তরুণ-তরুণীদের ভিড় দেখা গেছে চন্দ্রিমা উদ্যানেও। চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনেও রয়েছে ঈদ আনন্দের ছোঁয়া।

মহাখালী-গাবতলী রুটের লেগুনাচালক মো. হাশেম সারাবাংলা’কে বলেন, ‘গত কয়েকদিনের চেয়ে রাস্তায় মানুষের আনাগোনা আজ (মঙ্গলবার) একটু বেড়েছে। তবে যাত্রী এখনও কম। ঈদের ছুটি এখনও শেষ হয়নি। এ সপ্তাহের শেষের দিকে হয়তো যাত্রী বাড়বে।’

মহাখালী রেলগেটের চা দোকানি পিয়াস জানান, গত কয়েকদিনের তুলনায় মঙ্গলবার ক্রেতা একটু বেশি। তবে সেটাও স্বাভাবিক দিনগুলোর মতো নয়।

পল্টনের বিজয়নগর পানির ট্যাংকের উল্টো পাশের ফুটপাতের এক দোকানি বলেন, গতকাল দোকান খুলেছি। রাস্তাঘাটে এখনও তেমন মানুষ নেই। আগামী রোববারের আগে ঈদের আমেজ শেষ হবে না মনে হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন